কোচবিহারে আবার ধৃত কেএলও-জঙ্গি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সফরের ৭২ ঘণ্টা আগে কোচবিহার জেলায় গ্রেফতার হল এক সন্দেহভাজন সশস্ত্র কেএলও জঙ্গি। বৃহস্পতিবার বক্সিরহাট থানার অসম সীমানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম কণিষ্ক রায় ওরফে বিমল কার্জি ওরফে গোপাল রায়। তাঁর বাড়ি অসমের কোকরাঝাড় জেলার কাজুগাঁও। তাঁর হেফাজত থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, মোবাইল ফোন, দুটি সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। দু’বছর আগে তিনি কেএলও-এর সঙ্গে যুক্ত হন বলে পুলিশের দাবি। কোনও নাশকতার ছক কষেই ধৃত যুবক এলাকায় ঢুকেছিল কি না তা তদন্তকারী অফিসারেরা খতিয়ে দেখছেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “ধৃত জঙ্গি শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। বক্সিরহাটে সে কী উদ্দেশ্যে এসেছিল তা দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
পাশাপাশি, কোচবিহার লাগোয়া অসমের ধুবুরিতে সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েছে আরেক কেএলও জঙ্গি। এ দিন ভোরে অসমের ধুবুরির গোলকগঞ্জ থানার পোকালাগি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহেশ্বর অধিকারী।
ধৃতের থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড কার্তুজ, মোবাইল-সহ কিছু নথি উদ্ধার হয়। এর আহে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পরপর দুই জন সন্দেহভাজন কেএলও জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল। গত রবিবার বক্সিরহাট থানার দক্ষিণ টাকোয়ামারি থেকে কেএলও সন্দেহে মাধব রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকেও নাইন এমএম পিস্তল, কার্তুজ ছাড়াও একাধিক মোবাইল এবং সিমকার্ড মেলে। উদ্ধার হয় একটি অসমের নম্বরযুক্ত একটি বাইকও।
পুলিশের দাবি, গত মে মাসে বক্সিরহাটের মানসাই বাজারে গুলি চালনা ও অসমের গোলকগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পে গুলি চালানোর ঘটনায় মাধবের সঙ্গে কণিষ্ক যুক্ত ছিলেন। তার আগে মার্চ মাসে নাটাবাড়ির একটি মদের দোকানের কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠ এবং ফেব্রুয়ারিতে বক্সিরহাটের একটি পেট্রোল পাম্পের টাকা লুঠের ঘটনাতেও মাধবের সঙ্গী ছিলেন কণিষ্ক। এছাড়াও অসমের আগমণিতেও একটি হামলায় কণিষ্ক জড়িত ছিলেন।
২২ জুলাই জেলার মাথাভাঙায় নির্বাচনী প্রচারে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় কেএলও জঙ্গিদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী সভাকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ প্রশাসন। আগামী ২৫ জুলাই জলপাইগুড়ি জেলায় পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আগামী মঙ্গলবার ধূপগুড়ি ও ফালাকাটার জটেশ্বর গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করবেন। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জটেশ্বর ও ধূপগুড়িতে সম্প্রতি কেএলও-র কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। সেই সব মাথায় রেখেও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি নিয়ে চাইছেন না পুলিশ কর্তারা। বিভিন্ন এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের সর্বত্র গাড়ি থামিয়ে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
২২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় কোচবিহারে পৌঁছবেন। মাথাভাঙায় সভা করে সন্ধ্যায় সড়ক পথে মাদারিহাটে এসে পর্যটন দফতরের জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে রাতে থাকবেন। পরের দিন দুপুরে ফালাকাটার জটেশ্বর হাই স্কুলের মাঠে সভা করে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঠাকুরপাট খনির মাঠের সভায়। ওই দিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি হয়ে ট্রেনে কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.