দেশ জুড়ে মেডিক্যাল ও ডেন্টালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমে ভর্তির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র ব্যবস্থা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। ওই পদ্ধতি বহাল রাখার জন্য আবার শীর্ষ আদালতেরই দ্বারস্থ হচ্ছে কেন্দ্র।
সর্বোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার ওই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার পদ্ধতি খারিজ করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর এবং বিচারপতি বিক্রমজিৎ সেনের মত ছিল, “এই ধরনের পরীক্ষার নেওয়ার কোনও অধিকারই নেই মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বা এমসিআই-এর। কাউন্সিলের এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সংবিধানের একাধিক ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।”
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে কেন্দ্রীয় সরকার হতাশ বলে এ দিন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেন, “ভেবেছিলাম, রায় আমাদের পক্ষে যাবে। দুর্ভাগ্য, তা হল না। আমাদের সামনে আবার আইনের রাস্তায় যাওয়াই এখন একমাত্র উপায়।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিসারের ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবারের রায়ের বিভিন্ন দিক খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে আইনি পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। রায়ের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, শীর্ষ আদালত শুধু বলেছে, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ওই পরীক্ষা নেওয়ার অধিকার নেই। কিন্তু তারা ছাড়া আর কে ওই পরীক্ষা নিতে পারে, সেটা আদালত বলেনি। এটা বলে দিলে ভাল হত। আজাদ বলেন, “এই অবস্থায় আবার সুপ্রিম কোর্টে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো ছাড়া সরকারের সামনে কোনও পথ নেই।”
রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য জানান, শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “অভিন্ন প্রবেশিকা মাত্র এক বার হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। আমরা আবার পুরনো জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ব্যবস্থায় ফিরে যাব। এতে অসুবিধার কিছু নেই।” |