ফ্ল্যাটে তদন্তে আরও নথি পেল পুলিশ |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) দায়ের করা ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় ধৃত ইঞ্জিনিয়র মৃগাঙ্কমৌলি সরকার কয়েক কোটি টাকায় জমি কিনেছেন বলে পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে। শুক্রবার মৃগাঙ্কবাবুকে ফের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁর সঙ্গে শরৎ বসুর রোডের একটি ফ্ল্যাটে গিয়ে পুলিশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই জমি কেনার কাজে যোগাযোগের ভূমিকা নিয়েছিলেন ওই মামলায় ধৃত ঠিকাদার শঙ্কর পাল। পুলিশের দাবি, ধৃত শঙ্করবাবু জেরায় কবুল করেছেন, তাঁর বাড়িতে বসেই জনৈক আনন্দ কুমার গোয়েলের সঙ্গে জমি কেনার চুক্তি করেছিলেন মৃগাঙ্কমৌলিবাবু। এদিন এসজেডিএ এর বাস্তুকার সপ্তর্ষি পাল, ঠিকাদার শঙ্কর পাল, ইউরেকা ট্রের্ডাসের কর্ণধার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবব্রত বন্দোপাধ্যায় ও ঠিকাদার সংস্থার অমলকৃষ্ণ সাহাকে আদালতে তোলা হয়। এ দিন অমলকৃষ্ণবাবুর জামিনের জন্য আবেদন করা হলে তা খারিজ করে দেন অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সন্তোষ পাঠক। পাশাপাশি সপ্তর্ষি পাল জেলা আদালতে জামিনের জন্য আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। তবে আগামী ২৯ জুলাই ফের আদালতে তোলা হবে তাঁদের। আজ ফের আদালতে তোলা হবে মৃগাঙ্কবাবুকে। এদিকে, এদিন সকালে পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা জমি কেনার নথিপত্রের ব্যাপারে জানতে মৃগাঙ্কবাবুর এক আইনজীবীর কাছেও যান। পরে দুপুরে শরৎ বসু রোডের ফ্ল্যাটে যায় পুলিশ। সেখানে যাওয়ার পরে দুটি আলমারির চাবি না পেয়ে তা পুলিশ ভেঙে দেয়। আলমারি থেকে কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের দাবি, তিনবাতি মোড়ের কাছে ২০ কাঠা যে জমি কেনার কথা ছিল তার দাম প্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।
|
ছাত্রদের লাঠি পুলিশের, অভিযোগ |
কলেজে ভর্তি নিয়ে তিনটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে গোলমাল থামাতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠল। ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে পোস্ট অফিস মোড় অবরোধ করা হয়। এসএফআই বিকেলে থানায় স্মারকলিপি দেয়। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির প্রসন্নদেব মহিলা কলেজের সংলগ্ন এলাকায়। লাঠিচার্জের প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “কলেজের সামনে ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে গোলমাল হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” কলেজ সূত্রের খবর, এদিন কলেজে ছাত্রীদের ভর্তির প্রক্রিয়াকে ঘিরে তিনটি সংগঠনের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। প্রথমে কলেজের ভিতরে পরে তা বাইরে ছড়ায়। এসএফআই-র জেলা সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, “কলেজে ভর্তির জন্য কাউন্সিলিং চলছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা মেয়েদের নানা কারণে উত্যক্ত করছিলেন। আমরা এর প্রতিবাদ করি। পুলিশ এসে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।” টিএমসিপি’র ছাত্র নেতা দেবল দত্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেন, “আমাদের সমর্থকেরা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এসএফআই কর্মীরা বাধা দেওয়ায় গোলমাল হয়। বাইরে এসএফআই এবং ছাত্র পরিষদ আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।” তবে ছাত্র পরিষদ নেতা শৌভিক চৌধুরী বলেন, “আমাদের একজন সমর্থক কলেজে বোনকে ভর্তি করাতে নিয়ে এসেছিলেন। পুলিশ হঠাৎ এসে লাঠি চালায়। এর প্রতিবাদে মোড় অফিস মোড় একঘন্টা অবরোধ করা হয়েছে।”
|
বাম মিছিলে যাওয়ায় ছাত্র নিগ্রহ, নালিশ |
সিপিএমের মিছিলে যাওয়ায় এক দিনমজুর পরিবারের ছাত্রকে কলেজে ভর্তি হতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রের নথিপত্র টেনে নিয়ে কলেজ থেকে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বার করে দিয়েছেন টিএমসিপি-র নেতা-কর্মীরা। প্রতিবাদ করায় অন্য দুই এসএফআই সমর্থককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজে বৃহস্পতিবার ঘটনা ঘটে। তবে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের সাফেলি বলেন, “বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। ওই ছাত্রও বিষয়টি আমাকে জানাতে পারত। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ছাত্রের নাম পাপাই দেব। বাড়ি শামুকতলা থানার মধ্য পারোকাটায়। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন টিএমসিপি-র স্থানীয় নেতা শ্যামল ঘোষ ও মলয় দত্ত। তাঁরা বলেন, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সিপিএম নেতারা ওই ছাত্রকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়ে রাজনীতি করছে। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে আমাদের উপরে হমলা করা হয়েছে।” আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “দুই পক্ষ থেকে অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত চলছে।”
|
সড়ক সারাতে বরাদ্দের আর্জি |
কেন্দ্রীয় সড়ক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী অস্কার ফার্নান্ডেজকে ৩১ ডি জাতীয় সড়কের মেরামতিতে দ্রুত কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মঞ্জুর করার আর্জি জানিয়েছেন জেলার বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অস্কার ফার্নান্ডেজের সঙ্গে দেবপ্রসাদবাবুর টেলিফোনে কথা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে আলিপুরদুয়ারে যাওয়া ৩১ ডি জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের ভার সম্প্রতি রাজ্য সরকারের দায়িত্বে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক। প্রায় ১৪৭ কিলোমিটার এই সড়ক মেরামতির জন্য ৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক ঘোষণা করেছে। সেই বরাদ্দ অর্থ দ্রুত রাজ্যের হাতে দিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদবাবু। |