দলের পতাকা ছেঁড়ার ‘অপরাধে’ মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরকে পিটিয়ে মারল পড়শি এক যুবক। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার বাঁশড়া পঞ্চায়েতের গৌরদহ গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম সোমনাথ মুখোপাধ্যায় (১৬)। মারার পর তার দেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল পুকুরে। ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে ওই পুকুরে স্নান করতে নেমে ছেলের দেহ পায়ে ঠেকে সোমনাথের বাবা বাবলুবাবুর। তার পরেই খবর যায় পুলিশে।
সোমনাথকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বপন সর্দারকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ সোমনাথ বাড়ির কাছেই গাছে লাগানো তৃণমূলের একটি পতাকা ছিঁড়ে ফেলে পাড়ার নানা লোককে সে কথা বলে বেড়াচ্ছিল। তা কানে যায় স্বপনেরও। তিনি এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। সোমনাথকে ‘শিক্ষা’ দিতে বাড়ির কাছেই স্বপন তাকে বেড়ধক মারধর করে বলে অভিযোগ। গ্রামের ভিতর সেই সময়ে কোনও পুলিশি টহল ছিল না। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রও ছিল অন্তত আধ কিলোমিটার দূরে। |
ঘটনার সময়ে সোমনাথের বাবা বাবলু মুখোপাধ্যায় বা পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সকলে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে অভিযোগে বাবলুবাবু জানিয়েছেন, গ্রামে ফিরে তিনি জানতে পারেন, ছেলেকে মারধর করে দেহ পুকুরে ফেলে দেয় স্বপন। বাবলুবাবু বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকেই জানতে পারি গোটা ঘটনা জানতে পারি। স্বপনই ছেলেকে প্রচণ্ড মেরেছে। তাতেই ছেলের মৃত্যু হয়। তার পরে ও দেহটি পুকুরে ফেলে দেয়।”
স্বপনের মা ভারতীদেবীও বলেন, “এর আগেও স্বপন ছেলেকে মারধর করেছিল।”
তৃণমূল অবশ্য স্বপনকে দলীয় সমর্থক হিসেবে মানতে চায়নি। দলের ক্যানিং-২ ব্লক সভাপতি সওকত মোল্লা বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। ধৃত যুবকও দলের কেউ নয়।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। |