কংগ্রেস সমর্থক খুন দেগঙ্গায়, অভিযুক্ত সিপিএম |
ভোট শেষ হওয়ার মুখে খুন হলেন এক কংগ্রেস সমর্থক। অভিযোগের তির সিপিএমের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ইয়াজপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম শেখ আনোয়ার হোসেন (৪৫)। তাঁর বাড়ি ইয়াজপুর গ্রামেই। তিনি পেশায় চামড়ার ব্যবসায়ী ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ইয়াজপুর গ্রামের ইয়াজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, সন্ধ্যা নাগাদ ভোটগ্রহণকেন্দ্রের বাইরে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন আনোয়ারসাহেব। তখন প্রার্থী নিয়ে বচসার কারণে সিপিএম সমর্থকেরা তাঁকে আক্রমন করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর ইয়াজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্ধ হয়ে যায় ভোট। রাত পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ঘিরে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। যদিও ঘটনায় তাঁদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে ঘটনাটি কংগ্রেসের অর্ন্তকোন্দল বলে দাবি করেছে সিপিএম। মৃতের ভাইপো মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা বরাবরই কংগ্রেস সমর্থক। তাই সিপিএমের রাগ। কাকা দোকানে থাকাকালীন কাজি নজরুল ইসলাম ওরফে মানু এবং তাঁর ভাই কাজি মুজিবর রহমান ওরফে ঝানু কাকাকে নানভাবে উত্তেজিত করছিল। তিনি উঠে চলে যাচ্ছেন দেখে ওঁরা কাকার উপর চড়াও হন। বাঁশ দিয়ে পেটানোর পর বুকে লাথি মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কাকার।” এলাকায় র্যাফ টহল দিচ্ছে।
|
বিহারের ছপড়ায় মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে ছাত্রছাত্রীদের মৃত্যুমিছিলের কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই মিড ডে মিল তৈরির ঘরে উদ্ধার হস ফাঁকা কীটনাশকের বোতল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে আরামবাগের তিরোল হাইস্কুলে। এর ফলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কীটনাশকের ফাঁকা বোতল উদ্ধার হওয়ার পর প্রায় ৪০০ ছাত্রছাত্রীর রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়া হয়। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ আরামবাগের বিডিওকে জানিয়েছেন ও আরামবাগ থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আরামবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “এই ধরণের ঘটনা কীভাবে ঘটল সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিরোল হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকুমার সরকার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই খোলা জানলায় কেউ ফাঁকা ওই বোতল রেখে গিয়েছে।”
|
বাক্সে ঠিকমতো ব্যালট পেপার ঢোকানো যাচ্ছে না, সিপিএমের তোলা এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের ২৪৫ নম্বর বুথে। সকাল ৮টা থেকে ভোট নেওয়া বন্ধ হয়ে যায় সেখানে। সিপিএমের অভিযোগ, ব্যালট পেপার বাক্সে ঠিকমতো না ঢোকায় ভোট বাতিল হয়ে যেতে পারে। পরে কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অমিত নাথ এবং নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সেখানে গিয়ে ফের ভোটগ্রহণ চালু করেন। মহকুমাশাসক বলেন, “ওখানে কোনও সমস্যাই ছিল না।” জলকাদা মেখেই ভোটের লাইনে নামখানা: কোথাও কাদা, কোথাও বা গোড়ালি ডোবা জল এমন রাস্তা পেরিয়েই দাঁড়াতে হল ভোটের লাইনে। এ নিয়ে বিস্তর ক্ষোভও জানালেন গ্রামবাসীরা। এই চিত্র দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের অনেক জায়গাতেই। কিছু জায়গায় আবার ভোটকেন্দ্রে পানীয় জলের বন্দোবস্ত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ভোটকর্মী এবং পুলিশকর্মীরা। প্রশাসনের বক্তব্য, হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় এমন সমস্যা হয়েছে। |