বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল, ছাপ্পা ভোটের নালিশ
গোলমাল এড়ানো গেল না তৃতীয় দফায় পঞ্চায়েত ভোটে। বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে ছাপ্পাভোট, বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
হাড়োয়ার বকজুড়ি পঞ্চায়েতের খাড়োবালা গ্রামে সকাল থেকে তৃণমূলের লোকজন বন্দুক নিয়ে বুথের বাইরে ঘোরাঘুরি করছিল বলে অভিযোগ। ওই বুথে ছাপ্পা ভোট পড়েছে বলেও অভিযোগ সিপিএমের। হাড়োয়ার কালীকাপুরে বোমাবাজি হয় সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে। জখম ৫ জন। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। কুলটি এলাকায় দিনভর তৃণমূলের বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি-বোমাও চলে। তৃণমূল বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে বললে দাবি সিপিএমের। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সিপিএমের লোকজন বোমাবাজি করায় স্থানীয় মানুষ প্রতিরোধ করেছেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের নির্বাচনী এলাকা হাসনবাদে বিভিন্ন এলাকায় এ দিন তৃণমূলেরই দৌরাত্ম্য দেখা গিয়েছে। বহু জায়গায় বুথের বাইরে সিপিএমের পতাকাও ছিল না। বেশির ভাগ বুথে এজেন্ট ছিল না সিপিএমের।
বসিরহাটের ঘোজাডাঙার একটি বুথে ভোট দিতে মহিলারা।
বাদুড়িয়ার চাতরার সালুয়া গ্রামে বুথের ভিতরে উত্তেজনা ছড়ায়। সেকেন্ড পোলিং অফিসারকে তৃণমূলের লোকজন চড় মারে বলে অভিযোগ। সিপিএমের এজেন্ট ছিল না এই বুথে। অভিযোগ মানেনি তৃণমূল।
হাড়োয়ার বকজুড়িতে ৩ এবং ৪ নম্বর বুথের বাইরে বন্দুক নিয়ে তৃণমূলের লোকজন ভোটারদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
স্বরূপনগরের পূর্ব পোলতা গ্রামে ৬৩-৬৪ নম্বর বুথে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মারামারি বাধে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়।
হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলের বিল-সহ বহু এলাকায় তৃণমূল বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। মিনাখাঁর কিছু এলাকায় বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বস্তুত, বসিরহাটের বিভিন্ন প্রান্তে বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অনেকেরই দাবি, বাম জমানায় যেমন ভাবে সন্ত্রাসের আবহে ভোট হত, এ বারও তাই হয়েছে।
বুথের জানলার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের লোকজনকে। বুথ থেকে ঢোকা-বেরনোর মুখে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে ভোটারদের। বিশেষত যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না, সেখানেই এই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। উর্দিপরা পুলিশ কর্মীদের হাতে বন্দুক থাকলেও তাতে বিশেষ পরোয়া করেনি দুর্বৃত্তেরা।
সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বুথ জ্যাম বা ছাপ্পা ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। কোথাও কোথাও সিপিএম গোলমাল পাকিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি মোটের উপরে ছিল শান্তই।
কলকাতা পুলিশের বেশ কিছু কর্মী গত তিন দিন ধরে বসিরহাটের ভ্যাবলায় লেডি রাণু মুখার্জি স্কুলে ছিল। তাঁদের কোথাও ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়নি। খাবার-জলের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি প্রশাসনের তরফে। এই নিয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট ওই পুলিশ কর্মীরা। এঁরা মূল এসেছেন কলকাতার হেস্টিংস ও ময়দান থানা থেকে। তাঁদের বক্তব্য, ভোটে এমন অব্যবস্থা আগে দেখা যায়নি। রির্জাভে থাকা পোলিং অফিসারদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বসিরহাট হাইস্কুল ও টাকি সরকারি স্কুল। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবার ও জল পাওয়া যাচ্ছে না এবং ভোটের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ছাড়া হচ্ছে না এই অভিযোগে ওই দু’টি স্কুলে বিক্ষোভ দেখান রির্জাভ পোলিং অফিসারেরা। তাঁদের মধ্যে রির্জাভ প্রিসাইডিং অফিসারও ছিলেন। বসিরহাট হাইস্কুলে বিক্ষোভ চলে বসিরহাটের ১ বিডিওর সামনে। সে সময়ে বিডিও দফতরের কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পোলিং অফিসারদের। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন পোলিং অফিসার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.