|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
রসিক রবীন্দ্রনাথ
শিখা বসু |
শিশির মঞ্চে সঞ্চারী কলাকেন্দ্র উপহার দিল ‘রসিক রবীন্দ্রনাথ’। প্রথম অংশে ছিল জয়ন্তী পুরকায়স্থের একক রবীন্দ্রসঙ্গীত। সু গায়নের সঙ্গে জয়তীর নির্বাচনও ছিল চমৎকার। শাপমোচন, মায়ার খেলা, চণ্ডালিকা, চিত্রাঙ্গদা থেকে একগুচ্ছ পরিবেশনা। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখায় ছড়ানো আছে অনাবিল হাস্যরস। সেইগুলি পরম মুন্সিয়ানায় সংকলন করেছেন জয়ন্তী পুরকায়স্থ। পরিচালনাও তাঁর। এবং সবটাই অভিনয়। অসাধারণ শেষ পর্বের ‘চা-চক্রের’ আসর যার প্রবর্তন রবীন্দ্রনাথই একদা শান্তিনিকেতনে শুরু করেছিলেন। এই পর্বে সত্যিকার চা সহযোগে ‘হায় হায় হায়’, ‘ও ভাই কানাই’ স্মরণীয় হয়ে থাকে। যেহেতু রসিক রবীন্দ্রনাথ সম্মেলক অভিনয়, তাই পৃথক করে কারও নাম না করাই ভাল। নাচে, গানে, অভিনয়ে প্রত্যেকই অনবদ্য।
|
নিখুঁত নিবেদন |
সম্প্রতি শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল শাপমোচন। পরিচালনায় তানিয়া দাস। অরুণেশ্বরের চরিত্র রূপায়ণে স্বরূপ পালের গান ও দীপ্তাংশু পালের নাচ ছিল পরষ্পরের পরিপূরক। সূত্রধর ছিলেন রাজর্ষি রায়। কমলিকার নৃত্যে গার্গী পাল প্রশংসার দাবি রাখে। এ দিনের সেরা প্রাপ্তি কমলিকার গানে আইরিন সরকার। রূপের মোহ থেকে অরূপের উপলব্ধিতে উত্তরণের যে পরিক্রমা আইরিনের নিবেদনে তা পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। বিশেষ উল্লেখ্য ‘বড় বিস্ময় লাগে’ গানটি। পিয়া ঘোষও প্রত্যাশা বাড়িয়েছেন। সমবেত সঙ্গীতে ‘অনন্ত’ ও নৃত্যে ‘নৃত্যভাবনা’ যথাযথ।
|
শুধু তিনকন্যা নয়... |
সম্প্রতি বেলেঘাটা তিনকন্যা নাট্যসংস্থা শিশির মঞ্চে আয়োজন করেছিল ‘প্রেম ও বিরহ’ নৃত্যগীতালেখ্য। সঙ্গীতে ছিলেন দীপঙ্কর পাল, অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, মধুমিতা বসু ঠাকুর, কুমকুম বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরমা সেন। নৃত্যে ছিলেন স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবজিৎ মুখোপাধ্যায়, আশিস মৈত্র ও অনিন্দিতা অধিকারী। ভাষ্যপাঠ করেন বিবেকানন্দ হাজরা ও ঊষসী সেনগুপ্ত। একক সঙ্গীতে সুছন্দা ঘোষ, অজন্তা সরকার, গিণিমালা দে ও শৈবাল চৌধুরী উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও সঙ্গীতে ছিলেন কাকলী দেব, সুচরিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী ভট্টাচার্য, বেলা সাধুখাঁ, লালী বসু ও কালিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নতুন বৌঠান’ শীর্ষক শ্রুতিনাটক করেন আশিস কুমার ঘোষ ও নাতাশা দাশগুপ্ত। একক আবৃত্তি করেন মীরা গঙ্গোপাধ্যায়, মৌ গুহ ও কৃষ্ণা মজুমদার। যন্ত্রে সহায়তা করেন দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরজিৎ চক্রবর্তী ও বিবেক ঘোষ।
|
লেইসাম |
|
মাইতেই ভাষায় ‘লেইসাম’ শব্দটির অর্থ সৃষ্টি। মাতৃরূপী এই পৃথিবীর সৃষ্টি ও আমাদের জীবনে তার গুরুত্বকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যেই সম্প্রতি অনুষ্ঠান। সৃষ্টি রহস্য উন্মোচন করার পথে মণিপুরি নৃত্য শৈলীর মূল চারটি ধারা থাংতা, লাইহারাওবা, সংকীর্তন এবং রাস। নৃত্যানুষ্ঠানটির ভাবনা ও পরিচালনায় সুমন সারাওগি। এক ঝাঁক প্রাণবন্ত মণিপুরি নৃত্য-বাদ্য শিল্পী দ্বারা ব্যালে আঙ্গিকে পরিবেশিত ৫০ মিনিটের বিমূর্ত এই নৃত্য ভাবনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। সুমনের সহযোগী শিল্পীরা ছিলেন ব্রজেন সিংহ, রাম্বো সিংহ, সঞ্জিত সিংহ, সঙ্গীতা দেবী, আশা দেবী ও আরও অনেকে। এই অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল স্পর্শ। |
|
|
|
|
|