সম্প্রতি আইসিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হল একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল আর রজনীকান্তের গান গাইলেন উৎসব দাস। রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে শুরু করলেন ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’। তার পর একে একে ‘এ কী লাবণ্যে’, ‘আমার মুক্তি’, ‘তোমার খোলা হাওয়া’ প্রভৃতি গান গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নিলেন। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেন অতুলপ্রসাদী গান দিয়ে। ‘একা মোর গানের তরী’, ‘আমি বাঁধিনু তোমার’ প্রভৃতি গানে তাঁর অপূর্ব সুন্দর গায়কির পরিচয় পাওয়া যায়। এ দিনের শ্রেষ্ঠ নিবেদন দ্বিজেন্দ্রগীতি ‘এক বার গাল ভরা মা ডাকে’।
|
ইমন কল্যাণ স্কুল অব মিউজিকের উদ্যোগে জ্ঞানমঞ্চে সংস্থার ছাত্রছাত্রীদের গাওয়া গানগুলি প্রশংসাযোগ্য। ভাষ্যপাঠ ও সঞ্চালনায় এষা ভৌমিক। অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় পর্যায় ছিল ‘সাম এ গজল’। পরিবেশনায় ছিলেন উস্তাদ মেহেদি হাসানের সুযোগ্যা শিষ্যা কুমকুম ভট্টাচার্য। গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে, খান সাহেবের গজলের আত্মাকে ছুঁয়ে গেলেন তিনি। শিল্পী শুরু করলেন রাজস্থানী মান্ড ‘কেশরিয়া বালম’ পরিবেশনের মাধ্যমে। পরে শোনালেন ‘মহব্বত করনেওয়ালে’, ইমন কল্যাণ রাগাশ্রয়ী ‘রঞ্জিস হি সহি’, এবং ‘রফতা রফতা’। সঙ্গে গানের মালাকে অলংকৃত করলেন বিভিন্ন ‘শের’ শুনিয়ে। ফৈয়াজ আহমেদ ফৈয়াজ রচিত ঝিঁঝিট রাগাশ্রয়ী ১৯৫৩ সালের বিখ্যাত সিনেমার গান ‘গুলোমে রং ভরে’ এক অবিস্মরণীয় অনুভূতির সঞ্চার করে। খাঁ সাহেবের সব গানই রাগাশ্রয়ী। কিন্তু ধ্রুপদী গানের মতো শুধুমাত্র রাগই প্রাধান্য পায়নি। সুর ও কথার আত্মিক মিলন তাঁর সঙ্গীতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে।
|
সম্প্রতি আইসিসিআরে ‘রবিনন্দন’ অনুষ্ঠানের সূচনা হল সুবেশ মজুমদারের গান দিয়ে। দেবযানী মজুমদারের পরিচালনায় সংস্থার শিল্পীরা গাইলেন ‘মোরা সত্যের পরে মন আজি করিব সমর্পণ’। পরে জগন্নাথ বসু, সুকৃৎরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং রাজেশ্বর ভট্টাচার্য কয়েকটি গান শোনালেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তবু মনে রেখো’। এ দিন ছিল গীতিআলেখ্য ‘কবি বন্দনা’ ও ‘ভানুসিংহের পদাবলী’। একক গানে ছিলেন এষা মিত্র, মালিনী গঙ্গোপাধ্যায়, কাবেরী দাশগুপ্ত ও জয়শ্রী দাস। নৃত্যশিল্পী পলি গুহ-র পরিচালনায় স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সখীবৃন্দ ছিল সঠিক নির্বাচন। |