গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সার্বিক ঐক্য হয়নি বামফ্রন্টের। আর সেই ভোট ভাগ থেকে সুবিধা পেতে আসরে নেমেছে কংগ্রেস। এমনই ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে।
নওদার ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টি পঞ্চায়েতের কয়েকটি আসনে সিপিএম ও আরএসপি মুখোমুখি লড়ছে। নওদার সর্বাঙ্গপুর পঞ্চায়েতের দুধসর গ্রামের তিনটি সংসদ এলাকায় সিপিএম ও আরএসপি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। এ ছাড়া, রায়পুরের রামনগরের একটা, নওদা পঞ্চায়েতের ছয়ঘরি, রাজপুরে একটি করে, মধুপুর পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর, ছাপাতলায় একটা করে, ও কেদারচাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রিমোহিনীতে মোট ৯টি আসনে আসন রফা হয়নি। বাম নেতৃত্বের মতে সংখ্যাটা ৮।
২০০৮ সালে নওদা পঞ্চায়েত সমিতি বামেদের দখলে ছিল। ২৭টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসন বামফ্রন্ট দখল করে। ৯টি আসন পায় কংগ্রেস। মোট ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮টি বামফ্রন্ট ও ২টি কংগ্রেস দখল করে। তিনটি জেলা পরিষদই ছিল বামেদের দখলে। তবে এ বারের নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল ভাল হবে বলেই আশা নেতৃত্বের। নওদা ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক উত্তম বিশ্বাস বলেন, “১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টি পঞ্চায়েতের ৯টি আসনে আসন রফা হয়নি। এই অনৈক্য সারা ব্লকে নিশ্চয়ই প্রভাব ফেলবে।”
সিপিএমের নওদা জোনাল কমিটির সম্পাদক শমীক মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েত স্তরে কিছু ক্ষেত্রে ঐক্য সম্ভব হয়নি। তবে কেদারচাঁদপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নির্দল প্রার্থী লড়ছেন। কংগ্রেস সেই নির্দলকে আরএসপি প্রার্থী বলে প্রচার করলেও আসলে ৮টি আসনে জোট সম্ভব হয়নি। ব্লক ও জেলা পরিষদে ঐক্য হয়েছে।” আরএসপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য ও নওদার প্রাক্তন বিধায়ক সুরজ বিশ্বাস বলেন, “নিচুতলার কর্মীদের দাবিকে উপেক্ষা করা যায়নি। তাই কিছু স্থানে জোট হয়নি। এতে কংগ্রেসের লাভবান হওয়ার কথা নয়। এতে বাম ঐক্যে ফাটলের কারণ নেই। কর্মীরা জোটবদ্ধ ভাবেই লড়ছে।” |