|
|
|
|
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস: সিপিএমের অভিযোগে গ্রেফতার হয়নি এক জনও |
পূর্বে পক্ষপাতে অভিযুক্ত পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ভোট মিটে যাওয়ার পরও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধীদের গোলমাল চলছেই। কোথাও মারধর ভাঙচুর চলছে, তো কোথাও দোকান খুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলের সমর্থকদের। পুলিশ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে ৬ জন সমর্থকই কংগ্রেসের, এক জন সিপিএমের। সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে যে নন্দীগ্রাম ও খেজুরিতে, সেখানে এক জনকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। স্বাভাবিক ভাবেই পক্ষপাতের অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের সিপিএম নেতা অশোক গুড়িয়া বলেন, “আমাদের এখানে এত অত্যাচার হচ্ছে, অভিযোগ জমা পড়ছে। কিন্তু পুলিশ তো কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পালও বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের গোকুলনগর, সোনাচূড়া ও মহম্মদপুরে আমাদের লোকেদের উপর তৃণমূল একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছি আমরা। পুলিশ এক জনকেও গ্রেফতার করেনি। অথচ, আমাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ হলেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন নন্দীগ্রামের বটতলা ও পরদিন মহম্মদপুর এলাকায় কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ কেবলমাত্র ৬ জন কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। ভগবানপুরে তৃণমূল কর্মীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার ঘটনায় এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু পটাশপুর এলাকায় এসইউসি জেলা পরিষদ প্রার্থী নমিতা দাসকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগে পুলিশ দু’জন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ অবশ্য পক্ষপাতের অভিযোগ মানতে নারাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, ‘‘প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেখা হয়নি।”
এ দিকে, এখনও খুচরো গোলমাল চলছে বিভিন্ন জায়গায়। বৃহস্পতিবারও নন্দীগ্রামের বটতলা গ্রামে তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর বাজারে কয়েকজন কংগ্রেস সমর্থককে দোকান খুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল নেতা আবু তাহের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|