দক্ষিণ কলকাতা
ফুটবল লিগ
চ্যাম্পিয়ন বাটানগর

কটিও ম্যাচ না-হেরে এ বারের সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন হল বাটানগর ফুটবল ফোরাম। বাটা-মহেশতলা জোনাল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আট দলের এই লিগ ফাইনালে হল জমজমাট লড়াই। সৌগত মজুমদারের করা একমাত্র গোলে গত বারের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন বজবজ ফুটবল অ্যাকাডেমিকে হারিয়ে লিগ খেতাব ঘরে তুলল মানস ভট্টাচার্য, কৃষ্ণেন্দু রায়ের দল।
বেহালা, মহেশতলা, বাটা, বজবজ, পূজালি, বাকড়াহাট প্রভৃতি অঞ্চলের ক্লাবগুলিকে নিয়ে এই সুপার লিগ চলছে গত পাঁচ বছর ধরে। পাঁচটি ম্যাচে জয় আর দু’টি ড্র করে লিগ জয়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাটা ফুটবল ফোরাম। ফাইনালের আগে বজবজ ফুটবল অ্যাকাডেমি জিতেছিল চারটি ম্যাচ। ড্র করেছিল দু’টিতে। সম্প্রতি বাটা ব্রিজের পাশের মাঠে এই ফাইনালটি দেখতে দর্শক সমাগম হয়েছিল চোখে পড়ার মতো।
দু’টি দলেই ছিলেন কলকাতা ময়দানে খেলা স্থানীয় বেশ কিছু নতুন ফুটবলার। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা গড়ালেও শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বেশি ছিল ফোরামের ফুটবলারদের। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে একটি চমৎকার আক্রমণ থেকে দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করে যান মিড ডিফেন্ডার সৌগত। গত বছর খেলেছেন ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবে। এ বার নাম লিখিয়েছেন প্রিমিয়ার ডিভিশনে ওঠা ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাবে। লিওনেল মেসির ভক্ত সৌগতের লক্ষ্য ভবিষ্যতে ভারতীয় দলে খেলা।
ছবি: অরুণ লোধ
চ্যাম্পিয়ন দলের গোলরক্ষক স্বস্তিক মুখোপাধ্যায় গত বছরই অনূর্ধ্ব ১৭ ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। এ বার চিন সফরের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের শিবিরে ডাক পেয়েছেন রক্ষণভাগের ফুটবলার ওয়াসিম আক্রম। এই দলের ফুটবলার কৌস্তুভ গঙ্গোপাধ্যায় সাতটি গোল করে পেলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। তাঁরই সতীর্থ মাঝমাঠের খেলোয়াড় জিৎ চক্রবর্তী প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে বললেন, “রহিম নবির মতো ফুটবল খেলতে চাই।”
বিজয়ী দলের যুগ্ম কোচ, ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার কৃষ্ণেন্দু রায়ের কথায়: “এ বছর এই দলের সাত থেকে দশ জন ফুটবলার কলকাতা মাঠে ভাল ফুটবল খেলবে। সম্প্রতি রাজ্য ক্রীড়া দফতর দু’লক্ষ টাকা দিয়েছে। টাকাটা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পিছনে ব্যয় করব। আমাদের লক্ষ্য, ভাল ফুটবলার তুলে আনা।” ফুটবল ফোরামের রোমিও দাস আইএফএ-র অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পেয়েছে। খুদেরা আইএফএ অনূর্ধ্ব ১২ নার্সারি ফুটবলে এ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আগামী বছর অনূর্ধ্ব ১৪-তে লড়াই করবে।
সুপার লিগের সেরা দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় পরিতোষ বাগ মেমোরিয়াল ট্রফি। রানার্স দল পেল স্বপ্নদীপা মেমোরিয়াল ট্রফি। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন ফুটবলার শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক সংস্থার সচিব তরুণ দাস বললেন, “আমরা চাই এই অঞ্চল থেকে আরও বেশি ফুটবলার উঠে আসুক।” এ বারের প্রথম ডিভিশনের সেরা দু’টি দল বজবজ ইয়ং স্পোর্টিং ও বেহালা এয়ারপোর্ট রোড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন আগামী বছর সুপার ডিভিশনে খেলবে।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.