জেমস মোগা কবে অনুশীলনে নামবেন তিনি জানেন না। চিডি-ওপারাদের সঙ্গেও তাঁর এখনও পর্যন্ত কোনও কথা হয়নি। জানেন না তাঁরা কবে আসবেন। কিন্তু তিন বিদেশিই ফিরলে তাঁদের যে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে দলে ঢুকতে হবে, এ দিন সেটা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলীয় কোচ মার্কোস ফালোপা। শুক্রবার যুবভারতীতে অনুশীলনের পর বললেন, “মোগা, চিডিরা ফিরলে ওদের আলাদা ভাবে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে আমার দলে ঢুকতে হবে।”
অ্যাস্ট্রোটার্ফে সড়গড় হওয়ার জন্য এ দিন সল্টলেক স্টেডিয়ামে মেহতাব-অণর্বদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। মেহতাব-সুয়োকাদের নিয়ে যখন অনুশীলনে ব্যস্ত ফালোপা-আমেরিকো, তখন পিতা-পুত্রের কাজ দেখতে হঠাৎ মাঠে উপস্থিত ফালোপার স্ত্রী আনা। জানিয়ে দিলেন, কলকাতাকে ইতিমধ্যেই মনে ধরেছে তাঁর। মিসেস ফালোপা বলছিলেন, “আমার খুব ভাল লাগছে কলকাতা শহর। তবে ঘরদোর গোছাতে হচ্ছে। তাই খুব একটা ঘোরার সুযোগ পাচ্ছি না।” |
প্র্যাক্টিসে ফালোপার কড়া নজরে সুয়োকা। শুক্রবার। ছবি: উৎপল সরকার
|
রবিবার থেকে কল্যাণীতে শুরু হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের আবাসিক শিবির। তবে সেই শিবিরে আপাতত সুয়োকা ছাড়া আর কোনও বিদেশিকে পাচ্ছেন না ফালোপা। সে কারণে নতুন কোচ কিছুটা হতাশ। “আশা করেছিলাম আবাসিক শিবিরে সবাইকে পাব। কিন্তু কী আর করা যাবে। যারা যাচ্ছে তাদেরই ভাল করে তৈরি করতে হবে,” বলেন ফালোপা।
সাফ কাপের জন্য অগস্টের মাঝামাঝি শুরু হচ্ছে জাতীয় শিবির। তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তায় পড়েছেন ফালোপা। বলছিলেন, “জাতীয় শিবির শুরু হলে অনেক ফুটবলারকে তখন পাব না। ভবিষ্যতে অবশ্যই ফেডারেশনের সহযোগিতা চাইব।”
সামনেই এএফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনাল। সম্ভবত সে জন্যই লাল-হলুদ কোচের মন্তব্য, “ফুটবলারদের সঙ্গে আরও বেশি পরিচিত হতে হবে আমাকে। ভবিষ্যতে এশিয়ার বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে ভাল খেলতে চাই।”
আর ‘বাবাই’? সল্টলেক স্টেডিয়ামেও লাল-হলুদ সমর্থকদের ভিড় ছিল নতুন ফিটনেস কোচকে দেখার জন্য। কলকাতার খাবারের প্রেমে পড়া আমেরিকো বলেন, “আরও খাটতে হবে দলকে। প্রথম কয়েক দিন দেখেই সব বলা যায় না।” |