ক্রিকেট জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছনো সচিন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে যত সমালোচনা হোক, কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান এখনও ভারতীয় ক্রিকেটের জেন ওয়াই-এর কাছে ‘আইকন’।
বিরাট কোহলি যেমন এ দিন এক অনুষ্ঠানে বলে দিয়েছেন, সুপারহিরো হিসেবে সচিন ছাড়া কারও কথা তিনি ভাবতেই পারেন না। “প্রথম থেকেই আমার সুপারহিরো সচিন। আর সারা জীবনই থাকবে। সচিন আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে। ওকে একা হাতে ম্যাচ জেতাতে দেখে আমিও স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম যে দেশকে ম্যাচ জেতাব। আর ক্রিকেটের বাইরে আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে,” বলেছেন কোহলি। তাঁর ‘হিরো’ সচিন হলে ভিলেন’ হল সেই ক্রিকেটাররা, যাঁরা ক্রিকেটে নানা দুর্নীতি আমদানি করেছেন। “ডোপিংকে কখনও মেনে নেওয়া যায় না। যারা ডোপ করে তাদের কড়া শাস্তি প্রাপ্য,” মন্তব্য কোহলির। |
কোহলির সুপারহিরোর সাজ। মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে। ছবি: পিটিআই
|
ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অনুপস্থিতিতে কয়েকটা ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিরাট। তাঁর অধিনায়কত্ব প্রশংসিতও হয়েছিল। যে প্রসঙ্গে কোহলির মন্তব্য, “আমি সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই। যারা আমার সঙ্গে, আমার আশেপাশে খেলছে, তাদের সামনে একটা দৃষ্টান্ত রাখতে চাই। দায়িত্ব নেওয়াটা আমি পছন্দ করি। ব্যাপারটা আমার সহজাত।” ক্রিকেটার হিসেবে কোহলির লক্ষ্য ভয়ডরহীন হওয়া। “এক জন ক্রিকেটারের সেরা গুণ হল কোনও কিছুকে ভয় না করা। তোমার টিমে যদি তোমার চেয়ে অনেক বেশি সিনিয়র আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকে, তা হলেও নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস রাখা উচিত যে এদের আমি নেতৃত্ব দিতে পারব,” বলেছেন কোহলি।
২৪ জুলাই থেকে ৩ অগস্ট যে জিম্বাবোয়ে সফরে যাচ্ছে ভারত, সেখানে অনেক সিনিয়রই থাকবেন না। তবে তরুণ দল নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ওই সফরে ভারত অধিনায়ক কোহলি। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে জাতীয় দলে আসা পেসার পরভেজ রসুল নিয়ে কোহলি বলছেন, “এটা ভাল লক্ষণ যে বড় শহর ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে প্লেয়ার উঠে আসছে।” |