|
|
|
|
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ |
খড়্গপুরে পরপর পাঁচটি দোকানে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চুরি বাড়ছে খড়্গপুর শহরে। কখনও ফাঁকা বাড়িতে সন্ধেবেলায় তালা ভেঙে সব কিছু নিয়ে চম্পট দিচ্ছে চোর। আবার কখনও জানালা দিয়ে হাত গলিয়ে নিয়ে পালাচ্ছে ল্যাপটপ বা মোবাইল। বৃহস্পতিবার রাতে এরকম পরপর পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটল খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে। নগদ অর্থ, দোকানের সরঞ্জাম মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চুরি গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। চুরি যাওয়া একটি দোকানের মালিক শিউকুমার আগরওয়াল বলেন, “সকালে বাজারের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে খবর যায় একটি দোকানে তালা ভেঙে চুরি হয়েছে। এসে দেখি, পরপর ৫টি দোকানে চুরি হয়েছে। নগদ টাকা তো নিয়েছেই, বাদ দেয়নি দোকানের মালপত্রও। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো খোওয়া গিয়েছে।”
বাজারে নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে চুরি হল?
নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, বাজারে প্রচুর দোকান রয়েছে। রয়েছে প্রচুর অলিগলি। তারই মধ্যে ঘুরে বেড়ান নিরাপত্তারক্ষীরা। রাতে একবার সব্জি বাজার ঘেঁষা এই দোকানগুলির পাশ দিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন। সেই সময় কিছু দেখেননি। ভোর রাতে দু’জনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে ধরার চেষ্টা করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। শিউকুমারবাবু বলেন, “নিরাপত্তারক্ষীদের বয়ান অনুযায়ী, দুই দুষ্কৃতী বন্দুক দেখানোয় তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। অস্ত্র না থাকায় কিছুই করতে পারেনি নিরাপত্তারক্ষীরা।”
|

গোলবাজারে দোকানে চুরি |
কিন্তু পরপর পাঁচটি দোকানে চুরি করতে তো দীর্ঘ সময় লাগার কথা। প্রতিটি দোকানের তালা ভাঙতে হবে, নগদ অর্থ নিতে গেলে ভাঙতে হবে বাক্সের তালাও। তা ছাড়াও চা, আমূল, মুদি দোকানের সরঞ্জাম নেওয়ার জন্যও সময় লেগেছে। সে সব বস্তায় ভরতে হয়েছে। তারপর গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে পুলিশের দেখা মিলল না কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে ব্যবসায়ীরা এ দিন পথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরুণচন্দ্র শেখর, এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে অবরোধ থেকে বিরত করেন তিনি। তারই সঙ্গে ৭ দিনের মধ্যে দুষ্কৃতীদের ধরারও আশ্বাসও দেন। খড়্গপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক রাজা রায় বলেন, “দেখি পুলিশ কী করে, তারপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।”
বুধবার রাতেও গোলবাজারের একটি মোবাইল দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেদিনও তালা ভেঙে দোকান থেকে মোবাইল-সহ একাধিক জিনিস চুরি যায়। সোমবার খড়্গপুর শহরের ইন্দা এলাকায় মলয় সাঁই নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই দিন সন্ধেয় বাড়ি থেকে সকলে বাইরে বেরিয়েছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন সব লন্ডভন্ড। সোনার গয়না, নগদ টাকা মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা চুরি হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
সব চুরির ঘটনার আবার অভিযোগও হয় না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন চুরির ঘটনা শহর জুড়েই বাড়ছে। অভিযোগ, পুলিশি সক্রিয়তার অভাবেই এই চুরির ঘটনা বাড়ছে শহরে। অবিলম্বে পুলিশ কড়া হাতে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম বন্ধ না করতে পারলে চোরেদের উপদ্রব আরও বাড়বে বলে শহরবাসীর আশঙ্কা।
|
|
|
 |
|
|