গত বছর শীত ভেঙেছিল ৫০ বছরের রেকর্ড। এ বার রেকর্ড ভাঙল গ্রীষ্মও।
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ব্রিটেন। বৃষ্টির দেখা নেই। দোকানে বিক্রি হচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে পাখা। দুপুর রোদে টিউবে চড়াই দায়। একটানা ৯ দিন ধরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠা থেকে নড়ছে না পারদ। ‘লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন’-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমীক্ষা অনুযায়ী অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাপপ্রবাহে। গত সাত বছর এমন অভিজ্ঞতা হয়নি ব্রিটেনের। বুধবার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ, ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নরফকের হ্রদে সাঁতার কাটতে কাটতেই মারা গিয়েছে ১৬ বছরের একটি কিশোর। ওই হ্রদেই পাওয়া গিয়েছে মাঝবয়সী একটি লোকের দেহ। কর্নওয়ালে সমুদ্রে সাঁতার কাটছিলেন ৪০ বছরের এক মহিলা। মৃত্যু হয় তাঁরও। লিঙ্কনে সানস্ট্রোক হয়ে মারা গিয়েছেন এক পোস্টম্যান। একের পর এক মৃত্যুর খবর। তবু আশার কথা শোনাচ্ছে না ব্রিটেনের আবহ দফতর। বরং ফিরিয়ে আনছে ২০০৬-এর ৩৬.৫ ডিগ্রি কিংবা ২০০৩ সালের ৩৮.৫ ডিগ্রির স্মৃতি।
সে সঙ্গেই খটখটে জুলাইও ব্রিটেনের ইতিহাসে বোধহয় নেই, বলছেন আবহবিজ্ঞানীরাই। ১৯৫৫ সালে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। এ বার তার থেকেও পিছিয়ে।
আবহ দফতরের এক কর্তা বললেন, “ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে ৯ মিলিমিটার, আর শুধু ইংল্যান্ডে ৪ মিলিমিটার। বছরের এই সময়টা যা বৃষ্টি হয়, তার থেকে অনেকটাই কম।” তবে খারাপ খবরের মাঝেও গ্রীষ্ম উপভোগে খামতি নেই ব্রিটেনবাসীর। সমুদ্রঘেষা শহরগুলোতে উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়। সৈকতে রোদ পোহাতে হাজির হাজারো লোক। গ্রীষ্মের উপযোগী পোশাক, খাবার, পানীয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। হোটেলের লোক উপচে পড়ছে। চড়া ব্যবসায় দারুণ খুশি এক দোকানি বললেন, “খদ্দেরদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, আমাদেরই তো দেখতে হবে।” |