স্থলসীমান্ত চুক্তি দ্রুত রূপায়ণের জন্য আজ স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের উপর চাপ তৈরি করল বাংলাদেশ।
ঢাকায় নির্বাচন আসন্ন। তার আগে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন করা হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি নিয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা। ভারতের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা একেবারে বন্ধ করার ব্যবস্থা হচ্ছে। মুজিব হত্যায় অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তি ভারতে লুকিয়ে থাকলে তাকে খুঁজে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও সব রকম সহযোগিতা করা হবে।
কিন্তু স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই নয়াদিল্লি কোনও পাকা কথা আজও দিতে পারেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তি রূপায়ণ করতে হলে, সংসদের দুই কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন দরকার। ভারত আজ জানিয়েছে, সংসদের আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে এই সংক্রান্ত বিলটি আনা হবে। ইতিমধ্যে এ’টি নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়তে সক্রিয় বিদেশ মন্ত্রক। নয়াদিল্লি আশা করছে, শেষ পর্যন্ত বিলটিতে সম্মতি মিলবে।
আজকের বৈঠকে আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সেগুলি সম্পন্ন হলেই, চেতিয়াকে ভারতে পাঠানো হবে। ২০০৪-এ শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক সুব্রত বাইন এবং সাজ্জাদ হোসেনকে সত্ত্বর ফেরত পাঠানোর দাবিও করেছে ঢাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এই দু’জনকে ঢাকার হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শেখ মুজিব হত্যায় অভিযুক্ত ছ’জনের বিশদ তথ্য ও নথি আজ ভারতকে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার বক্তব্য, এদের কেউ কেউ ভারতে আত্মগোপন করে রয়েছে। নর্থ ব্লক জানিয়েছিল, এদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য তাদের হাতে নেই। আজ তাদের স্কেচ ও তথ্য দিয়েছে ঢাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সব রাজ্যে তল্লাশি চালানো হবে। |