দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এনে পারিবারিক বিবাদ মেটানোর সময় এক মহিলাকে চড় মারার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর হীরা বাউড়ি জানিয়েছেন, সমস্যার কথা শুনতে তিনি ডেকেছিলেন ওই মহিলাকে। চড় মারার অভিযোগ মনগড়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী সিংহের স্বামী নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর ২০০৪ সালে তিনি আইনুল শেখকে বিয়ে করেন। পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হীরা বাউড়ি জানিয়েছেন, সরস্বতীদেবীর প্রথম পক্ষের ছেলে বুদ্ধ সিংহ তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর মা ও সৎ বাবা তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে নানা রকমভাবে মানসিক নির্যাতন করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর পক্ষ নিয়ে তাঁর মা ও সৎ বাবাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি কাউন্সিলরের শরণাপন্ন হয়েছেন। এরপরেই হিরা বাউড়ি দলীয় কার্যালয়ে ডেকে পাঠান সরস্বতীদেবী ও তাঁর বর্তমান স্বামীকে।
এর পরে শুক্রবার সরস্বতীদেবী ফরিদপুরের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যান। তাঁর দাবি, সেখানে হীরা তাঁর ছেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে থাকেন। সরস্বতীদেবী বলেন, “আমার ও আমার ছেলের মধ্যে একটি পারিবারিক বিষয়ে বাদানুবাদ হয়। আমি কাউন্সিলরকে সে কথা বলি। কিন্তু উনি একতরফা ছেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে থাকেন। আমি প্রতিবাদ করায় উত্তেজিত হয়ে আমার গালে চড় মারেন।” শুক্রবার বিকেলে তিনি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরি সেনগুপ্তের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান। মহকুমা শাসকঅবশ্য বলেন, “বিষয়টি আমি জানি না। দফতরের কাজে বাইরে আছি। গিয়ে দেখতে হবে।” হীরা বাউড়ির দাবি, কাউন্সিলর হিসাবে নিজের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে তিনি মিথ্যা অভিযোগের শিকার হয়েছেন। তাঁর কথায়, “পাড়ার লোকেরা আগেই আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। মহিলার ছেলে অভিযোগ করার পরে আমি তাঁকে ডেকে বিষয়টি শুনতে চেয়েছিলাম। গায়ে হাত তোলার অভিযোগ কী ভাবে এল, বুঝছি না।” তিনি জানান, ওই মহিলার ছেলেকে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। |