ভরা বাজারের মাঝে বার বার গাড়ি পরীক্ষার নামে মোটরবাইক আরোহীদের ‘হেনস্থা করায়’ ব্যবসা মার খাচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে শুক্রবার স্থানীয় ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন দুর্গাপুরের বেনাচিতির ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির বাসিন্দা জয়ন্ত ঘোষ ও সঞ্জীব ঘোষ। পুলিশ তাঁদের পথ আটকিয়ে কাগজপত্র দেখাতে বলে। জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, পুলিশ কর্মীদের কয়েক জন অশালীন ভাষায় কথা বলছিলেন। তাঁরা প্রতিবাদ করেন। ফোন করতে গেলে তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। সেই সময় লালন সিংহ নামে এক পুলিশকর্মী তাঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ জয়ন্তবাবুর। তিনি চিৎকার জুড়ে দেন। তা শুনে আশপাশের দোকান থেকে ব্যবসায়ীরা বেরিয়ে আসেন। |
ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র। |
তাঁরা পুলিশের কাছে প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, ঘিঞ্জি বাজারে, রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। তার উপর বাজারের রাস্তার উপর একাধিক জায়গায় গাড়ি পরীক্ষা করায় যানজট আরও বাড়ছে। ক্রেতারা বেনাচিতি বাজার বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। ফলে মার খাচ্ছে ব্যবসা।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, কিছু দিন আগেই তাঁরা বেনাচিতি বাজারের দু’দিকে ভিড়িঙ্গি ও প্রান্তিকায় গাড়ি পরীক্ষা করার দাবি তুলে দুর্গাপুর থানায় স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। পুলিশ সে আর্জি মানেনি। দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি রমাপ্রসাদ হালদার বলেন, “বেনাচিতিতে যানজট লেগেই থাকে। জায়গায় জায়গায় গাড়ি পরীক্ষা করায় সমস্যা জটিল হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বাজারে আসতে ভয় পাচ্ছেন। ব্যবসা মার খাচ্ছে।” প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা এ দিন বেনাচিতি বাজারের মধ্যে দিয়ে যাওয়া নাচন রোড অবরোধ করে দেন। আধঘন্টা অবরোধ চলার পরে ছুটে আসেন পুলিশের আধিকারিকেরা। পরে ব্যবসায়ীরা রাস্তা থেকে উঠে গিয়ে স্থানীয় ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শেষে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ফিরে যান ব্যবসায়ীরা। |