ব্যবহৃত গাড়ি রং করে নতুন বলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে, ক্রেতাকে নতুন গাড়ি এবং ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল রায়গঞ্জ ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। কলকাতার একটি গাড়ি বিক্রয়কারী সংস্থাকে এ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন গাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি, মামলার খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে বলে গত বুধবার ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক সৌরিশ চক্রবর্তী এবং দুই সদস্য স্বপ্না কর ও তপনকুমার সোমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির কামারতোর এলাকার বাসিন্দা বিড়ি ব্যবসায়ী মাহিদুর রহমান একটি গাড়ি কেনেন। মোহন মোটরস নামে কলকাতার এক গাড়ি বিক্রেতা সংস্থার থেকে তিনি ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা দিয়ে গাড়িটি কেনেন। একটি ঋণ দান সংস্থার থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকারও বেশি ঋণ নিয়ে কলকাতার মোহন মোটরসের রায়গঞ্জের সংশ্লিষ্ট ডিলারের মাধ্যমে তিনি গাড়ি কেনেন বলে আদালতে জানিয়েছেন। মাহিদুেরের অভিযোগ, গাড়িটি কেনার এক মাস পর থেকেই প্রায়ই গাড়িটি বিকল হতে শুরু করে। মোহন মোটরসের মেরামতি কেন্দ্র ও বিভিন্ন গ্যারাজে একাধিকবার গাড়িটি মেরামত করা হলেও, কখনও ইঞ্জিনের কখনও বা যন্ত্রাংশ বিকল হওয়ার ঘটনা চলতেই থাকে বলে অভিযোগ। গাড়ি কেনার পরেই বারবার সমস্যা শুরু হওয়ায় গাড়ি বিক্রয় সংস্থাকে সমস্যার কথা জানিয়েও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে অভিযোগ করে মহিদুরবাবুর আইনজীবী জানান, রায়গঞ্জের কিছু গ্যারাজের কর্মী গাড়িটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে পুরনো গাড়িকে রং করে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান।
২০১২-র ২৫ মে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে গাড়ি বিক্রেতা সংস্থা মোহন মোটরসের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের হয়। গাড়িটি যে ব্যবহৃত সে বিষয়ে আদালতের কাছে বিভিন্ন গ্যারাজের প্রশিক্ষিত কর্মীদের দেওয়া শংসাপত্র জমা দেন অভিযোগকারীর আইনজীবী। ওই গাড়িটি যে বিভিন্ন গ্যারাজে একাধিক বার মেরামত করা হয়েছিল, সেই নথিও আদালতে জমা পড়ে। আইনজীবী চন্দন সরকার বলেন, “আদালত মোহন মোটরসকে পুরনো গাড়িটি ফেরত নিয়ে নতুন গাড়ি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সংস্থাকে মাহিদুরবাবুকে নতুন গাড়ির নাম করে পুরনো গাড়ি বিক্রি করে প্রতারণা করেন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আদালতে মামলা চলার পর তা প্রমাণিত! রায়ে আমরা খুশি। রায়ের প্রতিলিপি আদালতের তরফে কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
|
শুভেন্দুর কংগ্রেস বিরোধিতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই কংগ্রেস বিরোধিতায় সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মালদহে তিনটি সভা করেন তিনি। কংগ্রেসের সাংসদ-বিধায়কদের ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে কটাক্ষ করে তাঁর অভিযোগ, ভোটের সময়ে মালদহের কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়কদের দেখা যায়। পরে তাঁদের খোঁজ পান না মানুষ। তাঁর কথায়, “সে জন্যই মালদহের ভাঙন রোধ হয় না। বন্যায় ঘরদোর হারান বহু মানুষ। মানুষ মুখ ফেরাচ্ছেন দেখে কংগ্রেস-সিপিএম আঁতাত করে ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ, আসলে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। |