আইএসআই চর সন্দেহে জেলে বন্দি মেসো সৌরিয়ার সঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নাতাশা সিংহ কোনও দিনই দেখা করেননি বলে জানিয়ে দিল দার্জিলিং জেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জেলের তরফে বিষয়টি জানানোর পর তা স্বীকারও করে নিয়েছেন দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালও। তবে পুলিশ সুপারের দাবি, “আমেরিকার নাগরিক ওই মহিলা জেল চত্বর এলাকায় গিয়েছিলেন বলে খবর রয়েছে। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে এই কাজও করতে পারেন না। তাই বুধবার অভিবাসন দফতরের মাধ্যমে তাঁকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নোটিশ ধরানো হয়েছিল।”
জেল সূত্রের খবর, গত মাস থেকে মেসো সৌরিয়া দার্জিলিং জেলে বন্দি। এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র গত ১৩ জুলাই তার মেয়ে বিনু সৌরিয়া বাবা সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া এদিন অবধি দ্বিতীয় কেউ ধৃতের সঙ্গে দেখা করার আবেদন পর্যন্ত জানাননি। দার্জিলিং জেলের ইনচার্জ ধ্রুবজিৎ চৌধুরী বলেন, “নিয়ম মেনে কোনও বন্দির সঙ্গে দেখা করতে হলে আগে আবেদন করতে হয়। ধৃতের মেয়ে সেই আবেদন করেছিলেন। এখনও অবধি গত ১৩ জুলাই তিনিই একমাত্র ধৃতের সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে ওঁর সচিত্র পরিচয়-সহ যাবতীয় নথিপত্র আমরা জমা নিয়েছিলাম। জেলে মেসো সৌরিয়ার সঙ্গে মার্কিন নাগরিকের দেখা করার বিষয়টি একেবারে ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি।”
উল্লেখ্য, বুধবার ট্যুরিস্ট ভিসার নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই মার্কিন মহিলাকে দেশ ছাড়ার জন্য নোটিশ ধরায় পুলিশ। ওই দিনই বাগডোগরা হয়ে তিনি দিল্লি চলে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, তিনি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া এলাকার বাসিন্দা। মাস খানেক আগে তিনি ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে দার্জিলিঙে আসেন। স্থানীয় একটি হোটেলেই তিনি থাকছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি ছাড়া তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্যতম কর্ণধারের দাদাই আইএসআই চর সন্দেহ ধৃত মেসো সৌরিয়া।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, যে কোনও বিদেশি নাগরিক ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে আসলে তিনি শুধু বিভিন্ন এলাকায় নিয়ম মেনে ঘুরতে পারবেন। তবে কোনও ধরনের কাজ করতে পারবেন না। ওই মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ আসছিল। এমনকি, আইএসআই চর সন্দেহে ধৃতের মেয়ের সঙ্গে জেল এলাকায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ওঁকে নোটিশ ধরানোর আগে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তা জানান। তাঁর দাবি ছিল, মানবিকতার খাতিরে বিনু সৌরিয়ার তিনি সঙ্গী হলেও বন্দির সঙ্গে দেখা করেননি। |