আড়াল থেকে নির্দল প্রার্থীদের সিপিএম সমর্থন করছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে কোচবিহারে ওই অভিযোগ করেন তিনি। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কোচবিহার সদরের দেওয়ানহাট ও দিনহাটার বাসন্তীরহাট ও পেটলায় মোট তিনটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন পার্থবাবু। সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেস, বিজেপির সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি নির্দল প্রার্থীরা যে তাঁদের দলের কিছুটা হলেও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। মহাসচিবের অভিযোগ, “সিপিএম আড়াল থেকে নির্দলদের মদত দিচ্ছে। বিমান বসু প্রকাশ্যেই যেখানে তাঁদের প্রার্থী নেই, সেখানে নির্দলদের সমর্থন করার কথা বলেছেন। ফলে, গোলমালের ঘটনায় জড়িত নয় এটা কী করে বলা যায়?” এ দিন আমডাঙার ঘটনার জন্যও সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলেছেন পার্থবাবু। সেই সঙ্গে তৃণমূল যুবার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দিষ্ট প্রার্থী না দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করার জন্য ডাক দেন। তৃণমূল যুবা সভাপতি বলেছেন, “কিছু বাম নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুৎসা করছেন। লজ্জা থাকলে ৫ বছর মুখ দেখাতেন না।” |
দেওয়ানহাটের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। —নিজস্ব চিত্র। |
কোচবিহারে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। দলের নির্দেশের পরেও তাঁরা ভোট প্রক্রিয়া থেকে সরতে চাননি। তুফানগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি দীপালি রায়-সহ ৩০ জনকে বহিষ্কারের কথাও ঘোষণা করেছে জেলা তৃণমূল। জেলা নেতাদের উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখেই পার্থবাবু এ দিন নির্দল প্রসঙ্গে তোলেন বলে অনুমান জেলা নেতৃত্বের।
সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রাক্তন বনমন্ত্রী অনন্ত রায় অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “পার্থবাবুরা নিজের দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। জেলায় টিকিট না পেয়ে তাঁদের লোকেরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সে সব ঢাকা দিতেই বিমানবাবুর বক্তব্যকে বিভ্রান্ত করে অপপ্রচার করা হচ্ছে।” অনন্ত রায়ের দাবি, “বিমানবাবু যে আসনে আমাদের দলের প্রার্থী নেই, সেখানে গ্রহণযোগ্য নির্দলদের সমর্থনের কথা বলেছেন। সব নির্দলকে নয়।” |