‘সিভিক পুলিশ’ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিল ডিওয়াইএফআইয়ের শিলিগুড়ি শাখা। বৃহস্পতিবার সকালে কমিশনারের দফতরে গিয়ে তাঁকে স্মারকলিপি দেন ও নিয়োগ নিয়ে স্বচ্ছতার দাবি তোলেন। যদিও কমিশনার নিজে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি এই নিয়োগ পদ্ধতি খুবই সরল। তাই এ নিয়ে কেউ দুর্নীতি করাটা প্রায় অসম্ভব। |
আন্দোলনে ডিওয়াইএফ।—নিজস্ব চিত্র। |
ডিওয়াইএফআইয়ের জোনাল সম্পাদক পঙ্কজ সিংহ অভিযোগ করেন, “শিলিগুড়ি কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন জায়গায় কিছু লোক চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে বেশ কিছু চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ ও সমস্ত নথিপত্র নিচ্ছে। প্রার্থীরা যোগ্যতার মাপকাঠি সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় তাঁরা প্রতারিত হচ্ছেন।” যদিও তাঁদের অভিযোগ মানতে নারাজ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন। তিনি বলেন, “যোগ্যতা মান নিয়ে ও বয়স সম্বন্ধে পরিস্কার করে প্রতিটি থানায় নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যে কেউ থানায় গিয়ে ওই নোটিশ দেখতে পারেন। বিভিন্ন থানায় জমা পড়া আবেদনপত্র পরে কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযোগ পেয়েছি, খতিয়ে দেখব।”
আপাতত শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের জন্য ১ হাজার সিভিক পুলিশ নিয়োগ হয়েছে। আরও তিনশ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ এসেছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তবে আর্থিক মঞ্জুরি না আসলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। আপাতত প্রতিটি সিভিক পুলিশ কর্মীকে ৬ মাসের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। পরে এই চুক্তি প্রয়োজন মত বাড়ানো হতে পারে। প্রতিদিন ১৪১ টাকা হিসেবে তাঁরা ভাতা পাচ্ছেন। তবে কোনও দিন কাজে না আসলে তা কাটা যাবে। শূন্যপদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। পরবর্তীতেও তাঁদের মধ্যে থেকেই নিয়োগ করা হবে। তবে অভিযোগ যখন পাওয়া গিয়েছে তখন বিষয়টি নজরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে কমিশনার জানিয়েছেন। |