কোর্ট মোড় থেকে আশিঘর মোড় পর্যন্ত অত্যাধুনিক মানে রাস্তা তৈরির প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত কথা ঘোষণা করে বিধি ভঙ্গের অভিযোগের মুখে পড়লেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে ল’ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বাস্তুকার, পুরসভার বাস্তুকারদের উপস্থিতিতে ওই প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী। বৈঠকের পরে পূর্ত বিভাগের বাংলায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাস্তা তৈরি সহ অন্যান্য কাজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, “কোর্ট মোড় থেকে আশিঘর মোড় পর্যন্ত অত্যাধুনিক রাস্তা তৈরি হবে। সে জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাজ শুরু হবে।” সেই সঙ্গে এনটিএস মোড় থেকে এনজেপি পর্যন্ত রাস্তা, রবীন্দ্র মঞ্চ তৈরি, কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে দ্বিতীয় চুল্লি বসানোর পরিকল্পনাও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর ও শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বলে মন্ত্রীর দাবি। |
কোর্ট মোড়ে পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব।—নিজস্ব চিত্র। |
ওই ঘোষণার পরেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। সিপিএমের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকারের অভিযোগ, ‘‘আশিঘর মোড়ে ডাবগ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তা সংযুক্ত হয়েছে। ওই এলাকার ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্যই ওই রাস্তা তৈরির কথা জানিয়েছেন। যদি সত্যি করার ইচ্ছা থাকে তবে ২৫ জুলাই এর পরে আলোচনা করতে পারতেন।”
পাশাপাশি, কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকারের অভিযোগ, “মন্ত্রী আইনের তোয়াক্কা করেন না। নির্বাচন বিধি মানছেন না। আমরা নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।” বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নৃপেন দাস জানান, ভোট বিধি চালু হওয়ার পরে মন্ত্রী সরকারি জায়গায় বসে নির্বাচনী ক্ষেত্র কিংবা লাগোয়া এলাকায় কোনও সরকারি প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করতে পারেন না। তাঁর অভিযোগ, “আশিঘর মোড় লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের প্রভাবিত করতেই ওই ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরাও কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।
অবশ্য মন্ত্রী বিধিভঙ্গের বিষয়টি অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন। তাঁর যুক্তি, “আমি আশিঘর মোড় পর্যন্ত অত্যাধুনিক রাস্তা তৈরির কথা বলেছি। মোড় পর্যন্ত এলাকাটি পুরসভার সংযোজিত এলাকার আওতায় রয়েছে। সেখানে ভোট নেই। তা বলে বিধি বলবৎ হওয়ার প্রশ্ন উঠছে কী করে? আসলে উন্নয়নে বাধা দেওয়ার জন্য কিছু মানুষ রয়েছেন। তাঁরা তো অভিযোগ করবেনই।” |