বাগদায় বিধায়কের সাফল্যে
কাঁটা দলের ‘নির্দল’
লাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি রয়েছে চোরাচোলানের সমস্যা। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম সীমান্তবর্তী ব্লক বাগদার সর্বত্রই অনুন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট।
গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। বিধায়ক হওয়ার পরে এলাকার মানুষের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থানের উপরে জোর দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল। একই অবস্থা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিরও। উপেনবাবুর উদ্যোগে ব্লকে চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্র। চালু হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কম্পিউটার ও ইংরাজি শিক্ষার ব্যবস্থা। চাষের আধুনিক নানা পদ্ধতি সম্পর্কে চাষিদের সচেতন করতে চালু করা হয়েছে নানা ব্যবস্থা। পঞ্চায়েতে ভোটের বাক্সে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। যদিও জেলার অন্যান্য অংশের মতোই এখানেও গোষ্ঠীকোন্দলের কাঁটা চিন্তায় রেখেছে তৃণমূলকে। আর তাই ভোটে নির্দল প্রার্থীরা তাদের বেগ দিতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। যা বুঝতে পেরে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বামেরা।
হেলেঞ্চায় তৈরি হয়েছে সুলভ শৌচাগার।
ফরওয়ার্ড ব্লকের বাগদা লোকাল কমিটির সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের ভিতর দলীয় কোন্দল এবং বিধায়ক সাংসদদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতাই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। তা ছাড়া ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ না হওয়া সত্ত্বেও জব কার্ড দেখিয়ে টাকা তুলে আত্মসাতের ঘটনাও ঘটিয়েছে ওরা। যা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে।”
২০০৮ সালের নির্বাচনে বনগাঁর তিনটি ব্লকের মধ্যে একমাত্র বাগদাতেই পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয় বামেরা। ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের ৭টি দখল করে তৃণমূল, দু’টি পায় বামেরা। জেলা পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যেবাংরো পায় ২টি, তৃণমূল পায় একটি। বামেদের অভিযোগ, স্থানীয় কোদালিয়া, বেতনা, গড়াইল নদী সংস্কারের ক্ষেত্রে বিধায়ক উদ্যোগী হননি। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনও হিমঘর। যদিও একই অভিযোগ তৃণমূলের। তাদের বক্তব্য, সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও বামেরাও এদিকে নজর দেয়নি।
এলাকায় উন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল সামনে চলে এসেছে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে জেলা নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। যেমন প্রার্থী নিয়ে দলের মধ্যেই অসন্তোষ কতটা তা বোঝা যায়, হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টিতে নির্দল প্রার্থী দাঁড়িয়ে যাওয়ায়।
সংস্কার না হওয়া কোদালিয়া নদী। উন্নয়ন ও অনুন্নয়নের দুই ছবি।
দলের মধ্যেই ‘নির্দল’ সমস্যা মেটাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করলেও তা যে দলের একাংশের ক্ষোভ কমাতে পারেনি হেলেঞ্চাই তার প্রমাণ। যদিও গোপালবাবুর কথায়, “কয়েকটি এলাকায় দলের কয়েকজন নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিন ঠিকই। কিন্তু সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরা দলের সঙ্গেই আছেন।”
গোপালবাবু এমন দাবি করলেও বাগদার ভোটে নির্দলেরা যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই দলের অন্দরেই।

ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.