ফরওয়ার্ড ব্লকের বাগদা লোকাল কমিটির সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের ভিতর দলীয় কোন্দল এবং বিধায়ক সাংসদদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতাই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। তা ছাড়া ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ না হওয়া সত্ত্বেও জব কার্ড দেখিয়ে টাকা তুলে আত্মসাতের ঘটনাও ঘটিয়েছে ওরা। যা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে।”
২০০৮ সালের নির্বাচনে বনগাঁর তিনটি ব্লকের মধ্যে একমাত্র বাগদাতেই পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয় বামেরা। ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের ৭টি দখল করে তৃণমূল, দু’টি পায় বামেরা। জেলা পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যেবাংরো পায় ২টি, তৃণমূল পায় একটি। বামেদের অভিযোগ, স্থানীয় কোদালিয়া, বেতনা, গড়াইল নদী সংস্কারের ক্ষেত্রে বিধায়ক উদ্যোগী হননি। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনও হিমঘর। যদিও একই অভিযোগ তৃণমূলের। তাদের বক্তব্য, সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও বামেরাও এদিকে নজর দেয়নি।
এলাকায় উন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল সামনে চলে এসেছে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে জেলা নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। যেমন প্রার্থী নিয়ে দলের মধ্যেই অসন্তোষ কতটা তা বোঝা যায়, হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টিতে নির্দল প্রার্থী দাঁড়িয়ে যাওয়ায়। |
দলের মধ্যেই ‘নির্দল’ সমস্যা মেটাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করলেও তা যে দলের একাংশের ক্ষোভ কমাতে পারেনি হেলেঞ্চাই তার প্রমাণ। যদিও গোপালবাবুর কথায়, “কয়েকটি এলাকায় দলের কয়েকজন নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিন ঠিকই। কিন্তু সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরা দলের সঙ্গেই আছেন।”
গোপালবাবু এমন দাবি করলেও বাগদার ভোটে নির্দলেরা যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই দলের অন্দরেই।
|
ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক। |