|
|
|
|
বন্দরে খাবার চেয়ে বিক্ষোভ ঠিকাকর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ক্যান্টিনে খাওয়ার সমান অধিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার হলদিয়া বন্দরে বিক্ষোভ দেখালেন অস্থায়ী শ্রমিকরা।
এ দিন সকালে হলদিয়া বন্দরের জিসি, চিরঞ্জীবপুর, কোল-সহ বিভিন্ন বার্থের ৭টি ক্যান্টিনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভের জেরে দিনের খাবার না পেয়ে কোল বার্থের কাছে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান স্থায়ী শ্রমিকেরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর ‘ক্যান্টিনের খাবার মিলবে’ কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে অস্থায়ী শ্রমিকেরা বিক্ষোভ তুলে নেন।
স্থায়ী শ্রমিকদের সঙ্গেই প্রায় ৭৯০ জন অস্থায়ী শ্রমিক বন্দরের বিভিন্ন বার্থে কাজ করেন। জানা গিয়েছে, একসঙ্গে কাজ করলেও অস্থায়ী শ্রমিকরা কোনও ক্যান্টিন পরিষেবা পান না। এই দাবিতে মাস তিনেক আগে তাঁরা বন্দরের প্রশাসনিক ভবন ‘জওহর টাওয়ারে’ স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন। তখন কর্তৃপক্ষ তাঁদের জন্য ক্যান্টিন পরিষেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু, অভিযোগ কোনও কোনও দিন দু’একজন অস্থায়ী শ্রমিক সামান্য নিরামিষ খাবার পেলেও বাকি শ্রমিকরা কোনও খাবারই পেতেন না। সেই ক্ষোভে ঘৃতাহুতি হয় যখন তাঁরা জানতে পারেন এক অস্থায়ী শ্রমিকের খাবার দেওয়ার পর ফের তা ক্যান্টিনের কর্মচারীরা ফিরিয়ে নিয়েছে। এর পরেই বিভিন্ন বার্থের শ্রমিকেরা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সমর্থনে ক্যান্টিনগুলিতে বিক্ষোভে সামিল হন।
বিক্ষোভরত অস্থায়ী শ্রমিক বিশ্বজিৎ টুডু, শেখ মাফিজুল রহমানদের অভিযোগ, একই কাজ করেও তাঁদের মজুরি অনেক কম। অথচ ক্যান্টিনের খাবারটুকুও পান না। এই বৈষম্যের প্রতিবাদেই তাঁরা আইএনটিটিইউসি-র সঙ্গে ক্যান্টিন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এ দিকে এ দিন সকাল ন’টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলায় ক্যান্টিনে খাবার না পেয়ে চটে যান স্থায়ী শ্রমিকেরা। তাঁরাও এই অস্থিরতার প্রতিবাদ জানিয়ে কোলবার্থ সংলগ্ন ক্যান্টিনে খাবারও বয়কট করে পাল্টা বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি সমর্থন করে বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুও। স্থায়ী শ্রমিকদের পক্ষে দীপক সামন্ত, প্রশান্ত সরকারদের অভিযোগ, অস্থায়ী শ্রমিকেরা তাঁদের দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করুক, বিক্ষোভ দেখাক। কিন্তু আমাদের খাবার বন্ধ করে দিতে পারে না। একই বক্তব্য বন্দরের সিটু নেতা বিমান মিস্ত্রিরও।
কেন অস্থায়ী শ্রমিকদের খাওয়ার ব্যবস্থা নেই? বন্দরের ম্যানেজার (প্রশাসন) অমল দত্ত বলেন, “এটি কাস্টমার ম্যানেজারের বিষয়।” আবার কাস্টমার ম্যানেজার হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সংবাদমাধ্যামের সঙ্গে তাঁর কথা বলার এক্তিয়ার নেই বলে এড়িয়ে যান। |
|
|
|
|
|