|
|
|
|
ভোটেও ছুটি নামঞ্জুর, অভিযোগ শিক্ষক দম্পতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভোটের দিনে ছুটি মঞ্জুর না হওয়ায় সরব হলেন দুই স্কুল শিক্ষক। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার জফলা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক দম্পতি সুপ্রতিম মান্না ও সঞ্চিতা করের অভিযোগ, ছুটি মঞ্জুর করা দূর, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটির দরখাস্ত পর্যন্ত নিতে রাজি হননি। সুপ্রতিমবাবু বলেন, “আমরা কেন সোমবার স্কুলে আসতে পারিনি, তার জন্য লিখিত আবেদন জানাতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমাদের সামনেই তা ছুড়ে ফেলে দেন।” বিষয়টি জেলা স্কুল পরিদর্শককে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন ওই দুই শিক্ষক। এ বিষয়ে জানতে প্রধান স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা স্কুল পরিদর্শক সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। কেউ ভোট দিতে গেলে সবেতন ছুটি পাবেন এটাই নিয়ম। কেন এমন অভিযোগ উঠল তা খতিয়ে দেখা হবে।”
সুপ্রতিমবাবু ও সঞ্চিতাদেবীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পঞ্চায়েত ভোট ছিল। সুপ্রতিমবাবুর দাবি, ভোট দেওয়ার জন্যই সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। ভোটও দিয়েছিলেন। তাই সোমবার স্কুলে আসতে পারেননি। মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে গরহাজিরার কারণ দেখিয়ে প্রধান শিক্ষককে আবেদনপত্রও জমা দিতে গিয়েছিলেন। সুপ্রতিমবাবুর বক্তব্য, “প্রধান শিক্ষক প্রথমেই চড়া সুরে জানতে জানতে চাইলেন, ভোট দিতে গিয়েছিলাম তার প্রমাণ কী? আমরা আঙুলে লাগানো কালি দেখালাম। তখন তিনি মন্তব্য করতে করলেন, বাজার থেকে কালি কিনেও লাগিয়ে দেওয়া যায়। বলেই আবেদনপত্রটি ছুড়ে ফেলে দিলেন।”
তারপরই মঙ্গলবার জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিতভাবে ওই শিক্ষক দম্পতি স্কুল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানান। জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্র ছুটি মঞ্জুর করা বাধ্যতামূলক। কোনও শিক্ষক ভোট দিতে গেলে তাঁকে সবেতন ছুটি দিতেই হবে। প্রধান শিক্ষক রাজি না হলে স্কুলের পরিচালন সমিতি বা প্রশাসক ছুটি মঞ্জুর করতে বাধ্য থাকবেন। এই স্কুলে অবশ্য পরিচালন সমিতি না থাকার কারনে বর্তমানে প্রশাসক নিযুক্ত রয়েছেন। প্রশাসক মলয় দত্ত বলেন, “বিষয়টি নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়েছি। তিনি ব্যস্ততার কারনে হয়তো আসতে পারেননি। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে। ভোট দিতে গেলে যে কোনও শিক্ষকই সবেতন ছুটি পাবেন, এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে না।” |
|
|
|
|
|