বহরমপুরে সভা সেরে তাঁর রাতে থাকার কথা ছিল সাগরদিঘিতে পিডিসিএলের অতিথি নিবাসে। সেখানে যাওয়ার পথে হঠাৎ মত বদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তিনি রামপুরহাট যাবেন। আজ, শুক্রবার সেখানেই তাঁর সভা করার কথা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মমতার এই হঠাৎ-ইচ্ছার জন্য কার্যত নাকানিচোবানি খেল মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার পুলিশ। তবে, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা বলে কথা! সাগরদিঘির দিকে না গিয়ে কনভয় রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়ক ধরে ঢুকে পড়ে বীরভূমে। তবে, এখানেই শেষ নয়। রামপুরহাটের দিকে কনভয় যখন এগোচ্ছে, তখন মমতা বলেন, “ভাবছি মামাবাড়িটা একটু ঘুরে যাব।’’ রামপুরহাট থানারই কুশুম্বা গ্রামে তাঁর মামাবাড়ি। এর আগে বীরভূমে যখনই এসেছেন, কথায় কথায় তিনি মামবাড়ির প্রসঙ্গ তুলেছেন। এই জেলায় এলেই তাঁর ছেলেবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা এ দিন বলেন, “সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ খবর পাই সিএম ঢুকছেন। সঙ্গে সঙ্গে নলহাটি থানাকে বলি সিএমকে এসকর্ট করে নিয়ে আসার জন্য।” |
কুশুম্বা গ্রামে মামাবাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম |
কুসুম্বা গ্রামে তাঁর মামাবাড়িতে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামে গাড়ি ঢুকতেই দলে দলে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা ছোটবেলার জায়গায় এসে মনমেজাজ ভাল ছিল মমতারও। তবে, সাকুল্যে মিনিট সাতেক ছিলেন মামাবাড়িতে। গাড়ি থেকে নেমেই তিনি এগিয়ে যান মামি তাপসী মুখোপাধ্যায়ের দিকে। অন্ধকারে ঠিকমতো ঠাহর করতে না পেরে জিজ্ঞাসা করেন, “বাড়িটা যেন কোন দিকে?”
পরে বাড়ির চৌকিতে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেকে নেন মামা অনিল মুখোপাধ্যায়কে। এর পরেই উঠে যান নিজের ছেলেবেলা কাটানো বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে। নিজে মিষ্টি খেলেন। মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে মিষ্টির হাতে তাঁর নিয়ে আসা একটি মিষ্টির প্যাকেটও তুলে দিলেন। নীহারবাবু ও তাঁর স্ত্রী পম্পা এ বার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও। মামি চা খাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলেও কাজ আছে বলে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
কুশুম্বা থেকে বেরিয়ে তিনি চলে যান তারাপীঠে। সেখানে পুজোও দেন। সেখান থেকে যান একটি বেসরকারি লজে। তবে, রাতে ওখানেই থাকবেন কি না, জানা নেই প্রশাসনের কর্তাদের। রামপুরহাট শহরে সেচ দফতরের বাংলোও তাঁর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে। |