ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও তার বাবা-মাকে রাস্তায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে বালুরঘাট থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। দুই যুবকের মারে ছাত্রীটির বাবা রাস্তায় পড়ে জখম হন। মায়ের ঠোঁট ফেটেছে। অভিযোগ করলেও পুলিশ দু’জনকে ধরতে পারেনি। তা নিয়ে শহরে ক্ষোভ দানা বাঁধে। অবশেষে বুধবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। দুই হাত বেঁধে দু’জনকে হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার পরে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। যেখানে ঘটনাটি ঘটে, সেই খাদিমপুর গার্লস হাই স্কুলে যাতায়াতের রাস্তায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা হলেও পুলিশ কেন নজরদারি বাড়ায় না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ফলে, দুষ্কৃতীরা প্রতিবাদী ছাত্রী ও তার বাবা-মাকে মারধরের সাহস পেয়েছে কি না তা নিয়েও অভিভাবকদের মধ্যে তদন্তের দাবি উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ইভ টিজিংয়ের অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে ওই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দড়ি দিয়ে বেঁধে এলাকায় ঘোরানো হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুজনের নাম স্বপন সরকার ও বিপ্লব মোহান্ত। দুজনের বাড়ি খাদিমপুর হাকাইমার্ডি পাড়ায়। দুজনেই শ্রমিকের কাজ করেন। এলাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। যদিও ধৃতরা দাবি করেছেন, ওই ছাত্রীটি অপমানজনক কথা বলায় তাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন। সে জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে ধৃতদের দাবি। পুলিশ জানায়, খাদিমপুর গার্লস হাইস্কুলের ওই ছাত্রীকে বেশ কিছু দিন ধরে উত্যক্ত করা হচ্ছিল। ছাত্রীটি প্রতিবাদ করলেও লাভ হয়নি। সে তার বাবা-মাকে সব জানায়। এর পরে ওই দিন তার বাবা-মা দুজনে গিয়ে দুই যুবককে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই সময়ে ছাত্রীটিকে প্রথমে মারধর শুরু করে দুই যুবক। মা বাধা দিলে এক যুবকের ঘুষিতে তাঁর ঠোঁট ফেটে যায়। বাবা বাধা দিলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। লোকজন জড়ো হলে দুই যুবক পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। |