সস্ত্রীক তৃণমূল প্রার্থী-সহ দলের জনা আটেক কর্মী-সমর্থককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একদল পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই আট জনের মধ্যে ছ’জন একই পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দিনহাটা থানার বড় আটিয়াবাড়ি ১ এলাকার ছোট ফকিরতকেয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বড় আটিয়াবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রার্থী আবদুল জলিল মিঁয়া তার স্ত্রী আমিনা বিবি-সহ জখমদের সকলকেই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সকাল ৮টা থেকে ছোট ফকিরতকেয়া এলাকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ গিয়ে ওই অবরোধ তুলে দেয়। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “মারধরের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” তবে পুলিশের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে ঘটনার জেরে অভিযুক্ত এক সাব ইন্সপেক্টরকে বুধবার সকালেই তড়িঘড়ি ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। পুলিশ সুপার অবশ্য ওই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার রাতে ছোট ফকিরতকেয়া গ্রামে ওই প্রার্থীর সামনে দলের সমর্থকরা আলোচনা করছিলেন। টহলরত পুলিশকর্মীরা যান। দু’পক্ষের বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, এর পরেই পুলিশকর্মীদের কয়েক জন ওই প্রার্থীকে লাঠিপেটা করতে শুরু করেন। প্রার্থীকে বাঁচাতে এলে তার স্ত্রী-সহ পরিবারের অন্যদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও উপস্থিত এলাকার আরও দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। আবদুল জলিল মিঁয়ার বাড়িতেও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। রাতেই জখমদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিনহাটার তৃণমূল নেতা অসীম নন্দী বলেন, “তৃণমূল করার অপরাধে বিনা প্ররোচনায় মদ্যপ এক সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েক জন দলীয় প্রার্থী আবদুল জলিল মিঁয়ার বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রী, পরিজন-সহ ৮ জনকে মারধর করে।” তাঁর অভিযোগ, পুলিশ কর্মীরা তৃণমূলের নামে ও মুখ্যমন্ত্রীর নামেও নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, পুরো বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নজরে আনা হয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি। ফরওয়ার্ড ব্লক দিনহাটা জোনাল সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিশু ধর অবশ্য বলেন, “পুলিশের ওপরেও তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা মস্তানি শুরু করে দিয়েছেন। তার জেরেই বড় আটিয়াবাড়ি ১ এলাকায় পুলিশ লাঠি চার্জ করতে বাধ্য হয় বলে শুনেছি।” |