দিনহাটায় রাস্তা আটকে নির্বাচনী সভা করার অভিযোগ উঠল বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে। বুধবার দিনহাটার ফকিরতকেয়ায় ওই সভা হয়। সেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অক্ষয় ঠাকুর, সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা সহ অনেকেই ছিলেন। ফকিরতকেয়ায় আয়োজিত ওই সভা উপলক্ষে দিনহাটা গীতালদহ রাস্তার একাংশ দখল করে বসেন উপস্থিত বাম কর্মী সমর্থকদের একাংশ. ফলে এক ঘন্টার বেশি সময় ওই রাস্তায় স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়। যানবাহনের ভিড় জমে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে মাঝেমধ্যে বাম স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তা উপস্থিত সমর্থকদের সরিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “গাছের ছায়া থাকায় কিছু লোক ছিলেন। ঠিকই তবে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে লোকজনদের সরিয়ে দেওয়ায় গাড়ি যাতায়াত করেছে।” |
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অক্ষয় ঠাকুর জানান, সভার জন্য যান চলাচলের কোন অসুবিধে হয়নি। লোকজন রাস্তার পাশে বসেছিলেন। তা ছাড়া কিছু সমর্থক যারা রাস্তায় ছিলেন, তাঁদেরও দুই পাশে কোন গাড়ি যেতে দেখলে স্বেচ্ছাসেবকরা সরিয়ে দেন। বরং তৃণমূল ওই এলাকায় আমাদের সভা বানচাল করতে পথসভা করে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য বামেদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “রাস্তা আটকে সভা করে যান চলাচল ব্যাহত করে বামেরা নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। ৩৪ বছর ধরে বেআইনি কাজের অভ্যাস ওরা বদলাতে পারেননি। গোটা ঘটনা নিয়ে আমরা পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি। ওই ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে নজর ঘোরাতেই আমাদের বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এ সব বলে লাভ হবে না।”
এদিন দিনহাটার ফকিরতকেয়ার পর ওই মহকুমার বড় নাচিনা ও মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙাতেও মহম্মদ সেলিম। তাঁর অভিযোগ, “বাইক বাহিনীর সন্ত্রাস চলছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা হচ্ছে। উদয়ন গুহ যাতে প্রচার করতে না পারেন সেই জন্য মিথ্যে মামলা করা হয়েছে।” |