শামুকতলার খড়িয়াবস্তিতে কালচিনির বিধায়ক তথা ডুয়ার্স টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান উইলসন চম্পামারি উপর হামলার অভিযোগ ঘিরে সিপিএম-তৃণমূল চাপান উতোর শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঘটনার পর তৃণমূল শামুকতলা থানায় সিপিএমের ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিধায়কের উপর হামলার অভিযোগ দায়ের করে। তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের তিন কর্মীকে ধরে পুলিশের হাতেও তুলে দেয় সিপিএমের অভিযোগ।
দলের নেতা সুনীল বর্মন বলেন, “কোনও রকম হামলার ঘটনা ঘটেনি। বস্তিবাসীদের দাবি ছিল খাড়িয়াবস্তি থেকে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হলে, সবাই সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেবেন। সেই মত আমাদের শনিচর খড়িয়াকে প্রার্থী করা হয়েছে। তৃণমূল বস্তিবাসীদের প্রভাবিত করতে না পেরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, ভুয়ো অভিযোগ করছে।” তিনি জানান, তৃণমূল প্রার্থী স্থানীয় নন। আমাদের কর্মীরা গ্রামে আগে থেকে প্রচার করছিলেন। তৃণমূলের লোকজন বিধায়কের সামনে প্রচার করা চলবে না বলে তাঁদের হুমকি দেন। দলীয় তিন কর্মী এক বস্তিবাসীর বাড়িতে বসেছিলেন। তাঁদের মারধর করে আটকে রাখা হয়। মিথ্যা অভিযোগে তুলে তাঁদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমরাও দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছি। এলাকায় সিপিএম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী শনিচর খড়িয়া’র অভিযোগ, “সিপিএম করার জন্য বস্তিবাসীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষ ভোটে এর জবাব দেবেন।”
তবে তৃণমূলের দাবি, গত মঙ্গলবার বিকালে উইলসনবাবু-সহ তৃণমূল কর্মীরা মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট চৌকিরবস, বাকলা, বড় চৌকিরবস-সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রচারে যান। বিকালে রায়ডাক নদী পেড়িয়ে খড়িয়াবস্তিতেও যান। সেই সময় সিপিএমের কয়েকজন কর্মী বিধায়কের উপর চড়াও হয়। তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। দলের মহাকালগুড়ি অঞ্চল সভাপতি পরেশ দেবনাথ সাতজন সিপিএম কর্মীর নামে লিখিত অভিযোগ করেন। কালচিনির বিধায়কের দাবি, “ওই এলাকায় সিপিএম সন্ত্রাস করছে। অন্য দলকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের উপর হামলার ঘটনা তারই প্রমাণ।” |