পঞ্চায়েত নির্বাচন ঢুকে পড়েছে পরিবারের অন্দরমহলে। দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা গ্রামের অম্বিকানগরে মিত্র পরিবারের তিন মহিলা এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী।
সাধনা।
|
বড় বৌ সাধনা মিত্র তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে। একই পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমের হয়ে লড়ছেন সাধনাদেবীর ননদ রাধা নাগ। পরিবারের ছোট বৌ বাসন্তী মিত্র লড়ছেন বেড়াচাঁপা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে।
ননদ-বৌদিদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। এমনিতে মিত্র পরিবার এলাকায় সিপিএম সমর্থক হিসেবেই পরিচিত।
বাসন্তী
|
পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম প্রার্থী রাধাদেবীর কথায়, “আমাদের পরিবার বরাবরই সিপিএম সমর্থক। পার্টির আদর্শ তুলে ধরার জন্যই প্রার্থী হয়েছি।”
ননদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তৃণমূল প্রার্থী সাধনা মিত্রের কথায়, “আগে সিপিএম সমর্থক ছিলাম। কিন্তু সিপিএমের কাজে হতাশ হয়ে ১৯৯৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল হিসেবে জয়ী হই। তারপরে তৃণমূলে যোগ দিই।” পেশায় নারী বিকাশ কেন্দ্রের কর্মী ও এলাকার মহিলা আরজিপার্টির সদস্য সাধনাদেবী ২০০৩ সালে জোড়াফুলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। ২০০৮ সালে ফের দাঁড়ান নির্বাচনে এবং জয়ী হন।
রাধা
|
বাসন্তীদেবীর স্বামী বেড়াচাঁপা-২ পঞ্চায়েতেপ বিদায়ী সদস্য ছিলেন। এ বার সেই আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় প্রার্থী হয়েছেন বাসন্তীদেবী। পরিবারের সব ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাসন্তীদেবী প্রচার করছেন স্বামীকে সামনে রেখে। গাঁ উজিয়ে প্রচারের ফাঁকে একে ওপরের সঙ্গে দেখা হলে অবশ্য মুচকি হেসে নিচ্ছেন সবাই। সেই হাসিতে অবশ্য রাজনীতি নেই। তবে শেষ হাসি কে বা কারা হাসেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে মিত্র পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। |