নবীনের সঙ্গে প্রবীণের লড়াই। একজন অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত কর্মী। আর এক জন তরুণ শিক্ষিত ঠিকাদার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৪৯ নম্বর আসনে ধুন্ধুমার লড়াই।
নবীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সুদর্শন তৃণমূল প্রার্থী কাইজার আহমেদ। আরেক দিকে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক সিপিএম প্রার্থী আবদার মোল্লা। দক্ষিণ শহরতলির ভাঙড়ের জাগুলগাছি, প্রাণগঞ্জ, নারায়ণপুর
তিন পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদের আসন (৪৯)।
তরুণ তুর্কী তৃণমূল প্রার্থী কাইজার আহমেদের অফিস ঘটকপুকুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বরাবরই একটা যোগাযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ক্ষণ নিয়ে ডামাডোলের মধ্যেই জনসংযোগের কাজটা চালিয়ে গিয়েছেন। কাইজার বলেন, “ভোট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করতে করতেই আমার নির্বাচনী জনসংযোগের মূল কাজটা হয়ে গিয়েছে। আমি এখন সব বাড়ির ঘরের ছেলে।”
তবে শেষের দিকে মাঠে নেমে প্রবীণ সিপিএম প্রার্থী আবদার সাহেবও খুব একটা পিছিয়ে নেই। দিন-রাত তিন পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। এক সময় পঞ্চায়েত দফতরে কাজ করতেন। পঞ্চায়েতের নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রচারে বলছেন। আর নিজেকে নবীন প্রার্থীর থেকে অভিজ্ঞ বলে পরিচিতি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
নবীন প্রার্থী যতই ছুটুক, এটা জানবেন, ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’ ঘটকপুকুরে নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিসে বলে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাত্তার মোল্লা। তাঁর কথায়, “জানেন জীবনে এই প্রথম রমজান প্রথাটা পালন করতে পারলাম না। না খেয়ে অত দৌড়তে পারব না বলে।” সাত্তারের সংযোজন, “পঞ্চায়েত বলুন আর সরকার, সব ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। চ্যাংড়াছোঁড়াদের নিয়ে ও সব কাজ হয় না। ঠিকাদারি ব্যবসা ঠিক আছে। প্রশাসন চালাতে অভিজ্ঞ হতে হয়। মানুষ তা জানে।”
আবদারও সাত্তার মোল্লার মতোই আত্মবিশ্বাসী। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ভাঙড়ের আর এক দাপুটে নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। রেজ্জাকের বক্তব্য, “প্রচারে গিয়েই বুঝতে পারছি, মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন।”
তবে হেভিওয়েট ‘টিম প্রবীণ’দের নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন কাইজার। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, ভাঙড়ে উন্নয়নের জোয়ার তুলতে তাজা রক্তের প্রয়োজন। বললেন, “বুড়ো হাড়ে তা বেশি দূর আর এগোতে পারবে না, তা মানুষ বুঝে গিয়েছে।” |
|
পারিবারিক ঠিকাদারি ব্যবসা |
পেশা |
পঞ্চায়েতের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী |
ঘনঘন সিগারেটে টান |
নেশা |
রাতদিন বই পড়া |
উচ্চশিক্ষিত ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি |
প্লাস পয়েন্ট |
সৎ বলে পরিচিতি |
দলের অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা |
মাইনাস পয়েন্ট |
পরিচিতি কম |
ভদ্র ও সজ্জন ব্যক্তি |
প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে |
ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত, ভোটের পাখি |
নতুন মুখ, লম্বা দৌড়ের ঘোড়া |
লোকে বলে |
পঞ্চায়েতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে |
|