এক সিপিএম নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে জয়নগরের দক্ষিণ বারাসত পঞ্চায়েতের পদ্মেরহাট গ্রামের ঘটনা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পদ্মেরহাট গ্রামের বাসিন্দা জয়নগরের সিপিএমের কৃষকসভার সম্পাদক আমির আলি মণ্ডল রাত দেড়টা নাগাদ প্রচার সেরে বাড়ি ফেরেন। রাতে ঘরে শুতে যাওয়ার সময় বাড়ির পিছনে শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসেন তিনি। সে সময় ঘরের মেঝেয় শুয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া মণ্ডল, এক ছেলে ও এক মেয়ে। শব্দ শুনে তাঁরাও জেগে যান। সেই সময়ে ফের গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি এসে লাগে আলমারির গায়ে। তারপরেই তারা চম্পট দেয়। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে আমির জানান, ওই পঞ্চায়েতটি সিপিএমের দখলে ছিল। তাই বিরোধীরাই দুষ্কৃতী দিয়ে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করছে। একটি মোটরবাইকে তিনজন দুষ্কৃতী এসে গুলি করেই চম্পট দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
হৃদরোগে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত হয়ে গেল বসিরহাটের একটি পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সেকেন্দার মণ্ডল (৪৮)। বাড়ি বসিরহাটের নিমদাঁড়িয়া গ্রামে। তিনি এবারে বসিরহাট ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির ১৪ নম্বর আসনে এসইউসি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। গত কয়েকদিন আগে প্রচারে বেরিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। প্রথমে তাঁকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “সেকেন্দার মণ্ডলের মৃত্যুর কারণে ওই আসনে ভোট স্থগিত রাখা হল। পরে ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে।”
|
কলেজে ভর্তি নিয়ে গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তাল হল নিউ ব্যারাকপুর। বুধবারের ওই ঘটনায় থানায় ঢুকে পুলিশের সামনেই টেবিল-চেয়ার উল্টে, ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, কিছু দিন ধরে সেখানকার এপিসি কলেজে গোলমাল চলছে। অভিযোগ, দুই গোষ্ঠী ছাত্রভর্তিকে কেন্দ্র করে চাঁদা তুলছিল। এ দিন হাতাহাতিতে জখম হন দু’জন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কিছু পরে ফের গোলমাল হয়। অভিযোগ, একটি মোটরবাইকে আগুন ধরানো হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান দেবাশিস বেজ বলেন, “ফাঁড়িতে পুলিশের সামনেই হাতাহাতি হয়। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “গোলমাল হয়েছে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
|
ভোটার স্লিপ নিয়ে মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন এক দম্পতি-সহ তিনজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের পাটলিখানপুর গ্রামে। আহত ওই দম্পতিকে টাকি হাসপাতালে এবং অন্য একজনকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের সমর্থক ইসলাম মোল্লা ভোটার স্লিপ নিতে অস্বীকার করলে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে। বাধা দিতে গেলে ইসলাম মোল্লার স্ত্রী আনোয়ারা বিবি এবং কাকা সফিকুল মোল্লাকেও মারধর করা হয়। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে সিপিএম। তাঁদের বক্তব্য, ঘটনাটি পারিবারিক। এর সঙ্গে ভোটার স্লিপের কোনও সম্পর্ক নেই। |