|
|
|
|
পুরুলিয়ার তরুণী ধর্ষণে মেচেদার দুই যুবক ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সাত মাস আগে ফোনে আলাপ। তাই থেকে প্রেম। বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় এসেছিলেন পুরুলিয়ার এক তরুণী। সেখানে প্রেমিকের দুই বন্ধু তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার দেনান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ নজরুল ও শেখ আহাদুল। পেশায় মাছ আড়তের কর্মী ওই দুই যুবকের বাড়ি মেচেদার শান্তিপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই দুই অভিযুক্তকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। মঙ্গলবারই ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। বুধবার তমলুক আদালতে ওই তরুণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। প্রেমিক অবশ্য পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা থানা এলাকার বছর কুড়ির ওই তরুণী দিনমজুরের কাজ করেন। মোবাইলে মাস সাতেক আগে তাঁর আলাপ হয় মেচেদার যুবক রাজু দাসের। পেশায় গাড়ির চালক রাজুর সঙ্গে ফোনেই প্রেম তরুণীর। রাজু তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন তরুণী। তিনি বলেন, “রাজুর কথা মতো আমি সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়া স্টেশনে আসি। রাজুও স্টেশনে এসেছিল আমাকে নিতে। দু’জনে ট্রেনে চেপে মেচেদায় আসি। রাজু বাড়ি ভাড়া করতে যাচ্ছি বলে প্ল্যাটফর্মে বসিয়ে যায়।” তরুণীর অভিযোগ, “কিছুক্ষণ পর রাজুর দুই বন্ধু শেখ নজরুল ও শেখ আহাদুল রাজু ডাকছে বলে আমাকে স্টেশন থেকে বাইরে আনে। বেশ কিছু জায়গায় ঘোরানোর পর রাতে কোলাঘাট থানার দেনান এলাকায় খালের ধারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।”
সেই সময় তরুণীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকেরা ছুটে এসে নজরুল ও আহাদুলকে ধরে ফেলেন। রাতেই কোলাঘাট থানার পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং দুই যুবককে গ্রেফতার করে। পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার মাধ্যমে ওই তরুণীর পরিবারে খবর দেওয়া হয়। তরুণীর বাড়ির লোকেরা মঙ্গলবার রাতে কোলাঘাট থানায় আসেন। আদালতের নির্দেশে ওই তরুণীকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ দিন আদালত চত্বরে তরুণীর বাবা বলেন, ‘‘মেয়ে এক জনকে বিশ্বাস করে এখানে এসেছিল। তার বন্ধুরা ওর উপর অত্যাচার করেছে। যারা এটা করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।” |
|
|
|
|
|