এসইউসি প্রার্থীকে প্রকাশ্যে হেনস্থা
তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছিলেন যিনি, পটাশপুরের সেই এসইউসি প্রার্থীকে বুধবার সর্বসমক্ষে মারধর করার অভিযোগ উঠল।
পটাশপুর ১ ব্লকের ব্রজলালপুর পঞ্চায়েত এলাকার পাহাড়পুর গ্রামের এসইউসি-র জেলা পরিষদ প্রার্থী নমিতা দাস অভিযোগ করেছিলেন, সোমবার রাতে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী নির্মল সামন্তের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় একদল তৃণমূল কর্মী। আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁর শ্লীলতাহানিও করে তারা। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রামেরই বাসিন্দা গুরুপদ গুচ্ছাইত ও জয়ন্ত পাহাড়িকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার তাঁদের কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক।
এ দিকে, ধৃতদের পরিবারের লোকদের নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা বুধবার সকালে নমিতাদেবীকে ঘিরে ধরেন গ্রামে। নমিতাদেবী গ্রামেরই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা। সেখানে গিয়ে তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে কটূক্তি, মারধর করেন বলে অভিযোগ। নমিতাদেবীর অভিযোগ, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে বার করে এনে সর্বসমক্ষে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। বড় ছেলে মিলন বাধা দিতে এলে ওকেও মারে। আমি কোনও রকমে বাড়ি চলে আসি। তখন তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি ঢুকে ফের আমাকে মারধর করে।”
এগরা মহকুমাশাসকের দফতরে এসইউসি-র বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রহৃত নমিতাদেবীকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নমিতাদেবীর স্বামী এসইউসি নেতা বলাই দাস বলেন, “সোমবার রাতের ওই ঘটনার পর আমরা বাড়ির বাইরেই ছিলাম। মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার আমাকে আশ্বস্ত করায় বুধবার সকালে সবাই মিলে বাড়ি ফিরে যাই। এ দিন সকালে তৃণমূল কর্মীরা ফের আমার স্ত্রীকে মারধর করেন। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কোনও গুরুত্ব দেয়নি।” এ দিন এগরার মহকুমাশাসককেও স্মারকলিপি দেয় এসইউসি।
তৃণমূলের পটাশপুর ১ ব্লক সভাপতি তাপস মাজি অবশ্য বলেন, “নমিতা দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে। সেই ক্ষোভ ছিল গ্রামে। মঙ্গলবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না হয়নি। তাই সব মিলিয়ে অভিভাবকরা প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। তাতে সামান্য বচসা ছাড়া অন্য কিছুই হয়নি। ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার কুৎসিত অভিযোগ করেছেন।”
বুধবারই থানায় তৃণমূল পাল্টা হামলার অভিযোগ করে নমিতাদেবীর বড় ছেলে মিলন দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মিলনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে বারো জন এসইউসি কর্মী মৌসুমী বেরা ও গুরুপদ গুচ্ছাইত নামে দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট চালিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। নমিতাদেবীর অবশ্য দাবি, “তৃণমূলের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। আমি চাপের কাছে নতিস্বীকার করিনি বলেই আমার ছেলে ও দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছে তৃণমূল।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.