সন্দেহ মণিপুরের ৩ কর্তাকে
অভয়ারণ্যে জমি বিক্রি, তদন্তের নির্দেশ
ভয়ারণ্যের জমি আসাম রাইফেলস্কে বিক্রির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল মণিপুর সরকার। রাজস্বমন্ত্রী টি দেবেন্দ্র সিংহ জানান, উপজাতি ও পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন দফতর এবং রাজস্ব বিভাগের তিন কর্তা এই জমি কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত এবং মায়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া পৌনে দু’শো বর্গ কিলোমিটারে ছড়িয়ে থাকা ‘ইয়াংগৌপোকপি লোকচাও অভয়ারণ্যে’ বিভিন্ন ধরণের হরিণ, বুনো শুয়োর, বাঁদর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং সরীসৃপ থাকে।
ওই অভয়ারণ্যেরই ১৬০ একর জমি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। আসাম রাইফেল্স-এর তরফে দাবি জানানো হয়, ২০০৫ সালে রাজস্ব দফতরের কাছ থেকে ৬৭ লক্ষ টাকায় ওই জমি তারা কিনেছে। রাজস্ব বিভাগ তখন জানিয়েছিল, ওই জমিটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। সেই সংক্রান্ত নথিও তাদের কাছে রয়েছে। সরকারি সূত্রেরই খবর, ১৯৪৬ সালে রাজ দরবার ওই জমিকে সংরক্ষিত অরণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছিল। ১৯৯১ সালে সরকারিভাবে অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি পায় সেটি।
প্রশ্ন উঠেছে, ওই অভয়ারণ্যেরই একটি অংশকে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হিসেবে দেখিয়ে কী ভাবে বিক্রি করা হল?
প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের আই ইবোহালবি সিংহ এ নিয়ে রাজস্বমন্ত্রী টি দেবেন্দ্র সিংহের জবাব চেয়েছিলেন। রাজস্বমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পি হাওকিপ নামে এক ব্যক্তি অভয়ারণ্যের ১৬০ একর জমিকে ‘পার্বত্য গ্রামের অন্তর্গত ব্যক্তিগত জমি’ হিসাবে দেখিয়ে রাজস্ব বিভাগ এবং উপজাতি ও পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের কাছ থেকে কোনওভাবে একটি শংসাপত্র জোগাড় করেছিলেন। ওই কাগজ দেখিয়েই জমিটি আসাম রাইফেল্সকে বিক্রি করা হয়। উপজাতি ও পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের সচিব এস নেইজাগিন এ নিয়ে সরকারি অনুমতি দিয়েছিলেন। আসাম রাইফেল্স চান্ডেল জেলার জেলাশাসকের কাছে ওই জমির দাম মিটিয়ে চেক দিয়েছিল। চেকটিকে উপজাতি পরিষদের হাতে চেক হস্তান্তরিত করেন জেলাশাসক।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে নেইজাগিন ছাড়াও ওয়াই ইমোচা নামে এসডিও পর্যায়ের এক অফিসার এবং চান্ডেলের তদানীন্তন অতিরিক্ত জেলাশাসক ইবোহাল সিংহ জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ইমোচা ও ইবোহালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন নেইগাজিন।
মন্ত্রী জানান, নিয়ম ভেঙে জমি বিক্রির ওই ঘটনায় কারা, কী ভাবে জড়িত রয়েছে, তা জানতে তদন্ত চলছে। এ দিকে ক্রয় করা জমি অধিগ্রহণ করতে চাইছে আসাম রাইফেল্স। রাজ্য পুলিশও ওই জমিতে একটি থানা তৈরির জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। তবে রাজস্বমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অভয়ারণ্যের ওই জমি হস্তান্তর করার প্রশ্নই নেই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.