অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার মেদিনীপুরে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বন দফতরের উদ্যোগে এই কর্মসূচি। প্রতি বছর ১৪ থেকে ২০ জুলাই রাজ্য জুড়ে এই সপ্তাহ উদ্যাপন। চলে বৃক্ষরোপন, গাছের চারা বিলি, আলোচনা সভা প্রভৃতি। রাজ্যে পালাবদলের পর নতুন সরকার অবশ্য এই কর্মসূচির নামকরণ করে ‘বনমহোৎসব’। এদিন মেদিনীপুরে জেলাস্তরের অনুষ্ঠানটি হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বনপাল (পশ্চিম) এন ভি রাজশেখর, জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী প্রমুখ। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলার দরুণ এ বার এই কর্মসূচিতে মন্ত্রী- বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো যাবে না বলে আগেই নির্দেশ এসেছিল। সেই নির্দেশ মেনে শুধুমাত্র আমলাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বুধবার দুপুরে মেদিনীপুরে এক পদযাত্রা বেরোয়। পদযাত্রা শেষে বিদ্যাসাগর হলে এক অনুষ্ঠান হয়। আজ, বৃহস্পতিবার বনমহোৎসবের রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান হবে ঝাড়গ্রামে। |
অরণ্য সপ্তাহের নাম বদলে বনমহোৎসব রাখা হল কেন? সরকারি সূত্রের বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৮ সালের ১ শ্রাবণ শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বনমহোৎসব আয়োজন করেছিলেন। মানুষকে আরও বেশি পরিবেশ সচেতন ও বনসৃজনে আগ্রহী করে তুলতে প্রতি বছর তিনি হলকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন করতেন। তাই ১৪ থেকে ২০ জুলাই রাজ্য জুড়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বনমহোৎসব পালন করা হবে। তবে কর্মসূচিতে বিশেষ ফারাক থাকছে না। বস্তুত, অন্য বছরের মতো এ বারও জেলা জুড়ে গাছের চারা বিলি হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ২০ লক্ষ চারা বিলির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস, আম, পেয়ারা, কাঁঠাল, পেপে প্রভৃতি গাছের চারা রয়েছে। একজনকে দু’টি করে চারাগাছ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। নির্বাচন বিধি থাকায় চারা বিলি করবেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
এ দিন বিদ্যাসাগর হল সংলগ্ন মাঠে বৃক্ষরোপণ হয়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত সকলেই সবুজ রক্ষা করার আহ্বান জানান। তাঁদের বক্তব্য, গাছপালা ধ্বংস হলে সমাজের ক্ষতি। আবহাওয়ার তারতম্য হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সবুজকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। সবুজ বাড়লে আমাদের চারপাশের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে। |