কোনও মহকুমা শহরে নয়, পারিবারিক আদালত করতে হবে জেলা সদরে এই দাবিতে বুধবার কর্মবিরতি পালন করলেন চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবীরা। আদালত চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভাও করেন তাঁরা। হুগলি বার অ্যাসোশিয়েশন এবং বার লাইব্রেরির প্রায় সাতশো আইনজীবী আন্দোলনে সামিল হন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন ল’ক্লার্করাও। স্বভাবতই আদালতের কাজকর্ম লাটে ওঠে। সমস্যায় পড়েন বিচারপ্রার্থীরা। |
সুনসান সেরেস্তা।—নিজস্ব চিত্র। |
আন্দোলনকারী আইনজীবীদের দাবি, হুগলিতে একটি পারিবারিক আদালত (ফ্যামিলি কোর্ট) তৈরি হচ্ছে। শ্রীরামপুরে ওই আদালত করার সিদ্ধান্ত পাকা। এখানে মূলত বৈবাহিক-সম্পর্কিত মামলার বিচার হবে। এই প্রক্রিয়াও অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এর প্রতিবাদেই পথে নেমেছেন চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, হুগলি জেলা এবং বর্ধমান রেঞ্জের সদর শহর চুঁচুড়া। চুঁচুড়া আদালত ভবন এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম। এখানে যাবতীয় পরিকাঠমো থাকা সত্ত্বেও নতুন ওই আদালত অন্যত্র করার বিষয়টি তাঁরা মানতে পারছেন না। এর পাশাপাশি চুঁচুড়ায় হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ তৈরিরও দাবি জানান তাঁরা। এ ছাড়াও জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সমস্ত মামলাও (বর্তমানে উত্তরপাড়া আদালতে নিষ্পত্তি হয়) সদর আদালতে করার দাবি জানান তাঁরা।
হুগলি জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক মৃন্ময় মজুমদার বলেন, “মামলা স্থানান্তরের ফলে এখানকার আইনজীবীরা গভীর সঙ্কটে পড়বেন। তারই প্রতিবাদ করা হচ্ছে।” চুঁচুড়া বার লাইব্রেরির সভাপতি কৃষ্ণকান্ত বোলেলের বক্তব্য, “দূর-দূরান্ত থেকে গ্রামবাসীরা আসেন এই আদালতে। পারিবারিক মামলা অন্যত্র করা হলে বিচারপ্রার্থীদেরও অসুবিধার মুখে পড়তে হবে।” |