|
|
|
|
ষোলোয় সাবালক, মানতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
কিশোর অপরাধীদের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে অপরাধে জড়িয়ে পড়লে, বিচার হয় কিশোর অপরাধীদের জন্য বিশেষ আইনে। ১৬ ডিসেম্বর দিল্লি গণধর্ষণে অভিযুক্তদের অন্যতম এক নাবালক। এই ঘটনার পরই কিশোর অপরাধীদের বয়স কমানোর দাবিতে বহু মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। আজ তার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের বেঞ্চ জানাল, আগের আইন-ই বলবৎ থাকবে। আইন বদলের প্রয়োজন নেই।
পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, দিল্লিতে প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে ধর্ষণের দিন সবচেয়ে নৃশংস ছিল ওই নাবালকই। কিশোর অপরাধীদের জন্য বিশেষ আইনে বিচার চলছে তার। ২৫ জুলাই রায় ঘোষণার কথা। অপরাধ প্রমাণ হলে সংশোধনাগারে তিন বছর কাটানোর সাজা হতে পারে।
দিল্লি গণধর্ষণে অন্য অভিযুক্তদের থেকে তার অপরাধ কোনও অংশে কম না হওয়ায়, দেশ জুড়ে দাবি উঠেছিল অন্যদের সঙ্গে একই আইনে বিচার হোক ওই কিশোরেরও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০০ সালে কিশোর অপরাধীদের বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়েছিল। শিশুর অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের এক কনভেনশনে নেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত।
নাবালক অপরাধীদের বয়স ফের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে তাই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। একটি আবেদনে দাবি করা হয়, অপ্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীদের জন্য বিশেষ আইনের ২(কে), ১০ ও ১৭ নম্বর ধারা অযৌক্তিক ও সংবিধানের পরিপন্থী। অন্য একটি জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়, বর্তমান আইনে বয়সের উল্লেখ থাকলেও পরিণত মানসিকতার কোনও উল্লেখ নেই। আইন সংশোধন করে এই অংশটুকু যেন জোড়া হয়। তবে বয়স কমানোর বিরোধিতাও করেন অনেকে। শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমোদ কান্ত ছিলেন এর মধ্যে অন্যতম।
ধর্ষণ রুখতে কী পদক্ষেপ করা যায়, তার সুপারিশ করতে বিচারপতি বর্মার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। এক বারের বেশি ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়ালে অপরাধীর ফাঁসির পরামর্শ দিয়েছিল এই বর্মা কমিটি। তবে কিশোর অপরাধীর বয়স কমানোর বিষয়টি গ্রাহ্য করেনি তারাও। আজ সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টেও। |
|
|
|
|
|