প্রয়াত হলেন ইতিহাসবিদ বরুণ দে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। কয়েক দিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর। বুধবার বরুণবাবুর দেহ তাঁর বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। বরুণবাবুর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে আছেন। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দী এবং আধুনিক ভারতের প্রাক্-ঔপনিবেশিক, ঔপনিবেশিক ও স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ও বাংলার নবজাগরণের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী বরুণবাবুর। প্রেসিডেন্সির পরে অক্সফোর্ডের সেন্ট ক্যাথরিনস ও নাফিল্ড কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। অক্সফোর্ড, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন বরুণবাবু। লাতিন আমেরিকার বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। দেশে কলকাতা ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আইআইএম কলকাতা, আইএসআইয়ে প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ছিলেন কলকাতায় সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস এবং মৌলানা আজাদ ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা। উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত একাধিক কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বরুণবাবু রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন। |