এক যুবককে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল। বুধবার সকালে তিলজলা থানার পুলিশ শেখ রহমত আলি (২৬) নামে ওই যুবকের পচাগলা দেহ বাইপাসের ধারে একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করে। রহমতের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁদেরই এক ভাড়াটে এই ঘটনায় জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে ভাড়াটে মহম্মদ মনজুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রহমতের বাড়ি তপসিয়া রোডে। ১৫ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী জারিনা বেগম তিলজলা থানায় ওই দিন একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরদিন তিনি এফআইআর দায়ের করে জানান, তাঁদের ভাড়াটে মহম্মদ মনজুরই রহমতকে অপহরণ করেছে।
কেন মনজুরকেই সন্দেহ করলেন জারিনা? পুলিশের দাবি, জারিনা জানান, তাঁদের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে খাবার হোটেল চালান মনজুর। ১৫ জুলাই হোটেলে কয়লার উনুনের ধোঁয়া নিয়ে রহমতের সঙ্গে বচসা হয় মনজুরের। তার পর থেকে রহমতের খোঁজ মিলছিল না। ওই রাতেই মনজুর গ্রেফতার হন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দীর্ঘ দিন ধরেই রহমত ও মনজুরের মধ্যে গোলমাল চলছিল।
বুধবার সকালে পুলিশ খবর পায়, বাইপাসের ধারে ছাপান্নতলার একটি জলাশয়ে পচাগলা একটি দেহ ভাসছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে জারিনাকে খবর দেয়। তিনি মৃতদেহ শনাক্ত করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা-ও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রহমতের পেটে কাদা মিলেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে ভিসেরা ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। |