ঢালু রাস্তার ধারের গাছে ধাক্কা লেগে চুরমার হয়ে গিয়েছে স্কুলবাসের পিছনের কাচ। গাড়ির পাশে থতমত মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৭-১০ বছর বয়সী জনা কুড়ি পড়ুয়া। দুর্ঘটনার আধ ঘণ্টা পরেও তাদের চোখেমুখে আতঙ্কের স্পষ্ট ছাপ। বুধবার দুপুরে এই ছবিটা ছিল হাইড রোডে।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তারাতলা থানা এলাকার হাইড রোড দিয়ে গার্ডেনরিচের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই বাসটি মহেশতলায় যাচ্ছিল ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে। ব্রেসব্রিজ স্টেশনের আগে হাইড রোড যেখানে একটু উঁচুতে উঠেছে, সেখানে বাসটি খারাপ হয়ে যায়। চালক ইঞ্জিন বন্ধ করে দিলেও কোনও কারণে বাসটি পিছনের দিকে গড়াতে থাকে। চালক ব্রেক কষেও সেটিকে থামাতে পারেননি। গড়াতে থাকা বাসটি রাস্তার ধারের গাছে জোরে ধাক্কা মেরে এক দিকে হেলে যায়। পুলিশ জানায়, কোনও পড়ুয়ারই আঘাত লাগেনি। তবে তারা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে। কারণ উঁচু রাস্তার পাশেই বড় ঢাল। ঢাল থেকে যদি স্কুলবাসটি পড়ে যেত, তা হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। |
হাইড রোডে টহলদারি সার্জেন্ট খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে যায় তারাতলা থানার পুলিশ। পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র থেকে অভিভাবকদের নম্বর নিয়ে পুলিশ তাঁদের ফোন করে খবর দেয়। ছেলেমেয়েদের বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে অনেকে স্কুলবাসের চালককে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন। মিনিট চল্লিশের মধ্যে অভিভাবকেরা পৌঁছে ছেলেমেয়েদের বাড়ি নিয়ে যান।
ওই স্কুলবাসের এক ছাত্রীর বাবা প্রকাশ শর্মা বলেন, “স্কুল ছুটি হয় দুপুর ২টো নাগাদ। আড়াইটে নাগাদ মেয়ে ফেরে। তিনটে বেজে গিয়েছে, তবুও মেয়ে ফিরছে না দেখে চালককে ফোন করি। সে জানায়, ব্রেসব্রিজের কাছে বাস খারাপ হয়ে গিয়েছে। এখানে এসে জানলাম এই ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
পুলিশ জানায়, পরে ক্রেন দিয়ে হেলে পড়া স্কুলবাসটি সোজা করা হয়। তবে যতক্ষণ স্কুলবাসটি সরানো হয়নি, ততক্ষণ হাইড রোড বন্ধ করে দিয়েছিল ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশ গাড়ির চালক কার্তিক মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। |