নিরাপত্তা থেকে বাণিজ্য। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর নয়াদিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতা বেড়েছে। বিভিন্ন কূটনৈতিক মঞ্চে সে কথা অকপটে জানিয়েছেন ভারতীয় নেতৃত্ব। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে ঢাকায় পটপরিবর্তন ঘটলে কী হবে ?
বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, ঢাকায় বিরোধীরা সরকারে এলেও দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা থমকে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। সাউথ ব্লকের এক কর্তার বক্তব্য, কোনও নির্দিষ্ট সরকার নয়, নয়াদিল্লি বরাবরই বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করেই দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপগুলি করেছে। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার জায়গায় খালেদা জিয়া গদিতে বসলেও সেই প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।
সাউথ ব্লক সূত্রে জানানো হচ্ছে, ভারতের পক্ষ থেকে যিনি যখনই ঢাকায় গিয়েছেন, শুধু মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেই কর্তব্য সারেননি। সেখানকার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যম এবং সর্বোপরি বিরোধী নেতৃত্ব তথা খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ভারতীয় নেতারা। নানা দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। বিদেশনীতির প্রশ্নে বাংলাদেশের কোনও জনপ্রতিনিধিকেই ভারত যে ব্রাত্য বলে মনে করে না, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ভারতীয় কূটনীতিকদের আরও একটি আশা, এ বারে বাংলাদেশের ভোটে ভারত-বিরোধী তাস তুলনায় কম খেলা হবে। নয়াদিল্লি মনে করে, গত তিন বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত যে ভাবে ঢাকার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। সিগারেট ও অ্যালকোহল ছাড়া সমস্ত বাংলাদেশি পণ্যের জন্য ভারত যে ভাবে নিজেদের বাজার খুলে দিয়েছে, তার সুফল সে দেশ পাচ্ছে। বাংলাদেশে অধিকাংশ ভোটারের বয়স ২৫-এর আশেপাশে। তাঁরা অর্থনৈতিক সুযোগ চান, জীবন গড়তে চান। কোনও গোঁড়া ধর্মীয় বিদ্বেষের দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা সমাজ বা রাষ্ট্রকে দেখে না। সরকারে যে দলই থাকুক, ভারত যুবশক্তির জন্য সদর্থক বার্তা দিতে আগ্রহী। |