ইতিহাসবিদ বরুণ দে প্রয়াত |
প্রয়াত হলেন ইতিহাসবিদ বরুণ দে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। গতকাল রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩২ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতায় জন্ম হয় এই ইতিহাসবিদের। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর পড়াশোনা। মূলত অষ্টাদশ, ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দির ইতিহাস নিয়েই তাঁর গবেষণা। তবে গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষকতাও করেছেন তিনি। বিদেশের অনেক কলেজে তিনি অধ্যাপনার কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি বঙ্গসম্মানে ভূষিত হন। তাঁর মৃত্যুকে ‘শিক্ষাজগতের অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন ইতিহাসবিদ সব্যসাচী ভট্টাচার্য। বরুণ দে-র মৃত্যুতে সমগ্র শিক্ষামহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান রাজ্যপাল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, অধ্যাপক সুগত বসু প্রমুখ বিশিষ্ট্য ব্যক্তিত্ব। আজ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
|
ভাঙড়ে খুন তৃণমূল কর্মী, গ্রেফতার সিপিএমের ৬ |
ভাঙড়ের শাকশহরে গতকাল রাতে নজরুল মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে একদল দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে গুলি করে খুন করে নজরুল মোল্লাকে। এই খুনের ঘটনায় ভাঙড়ের বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় মৃতের পরিবার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম নেতা সাত্তার মোল্লা-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। এই খুন কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়, ভোটের আগে দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা রেজ্জাক মোল্লা। আজ অভিযুক্তদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সাত্তার মোল্লা-সহ চার জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের এবং দু’জনকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত। |