শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন
ভরা শ্রাবণে ভোট, প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসনও
লাকা পুনর্বিন্যাস করে এ বার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০। ২৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা বেড়ে হয়ছে ৭৪৮টি এবং ২৫৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট গ্রাম সংসদের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ৪২৪৭টি। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ওই আসনগুলির জন্য ভোট নেওয়া হবে মোট ৪৯৩৫টি বুথে। তার জন্য প্রয়োজন ২৯ হাজার সরকারি ভোটকর্মী। পঞ্চায়েত দফতরের মুর্শিদাবাদ জেলা আধিকারিক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, “বৃষ্টির জল ও রোদ থেকে রক্ষা পেতে এ বার পলিথিন সিটে ব্যালট বাক্স মোড়ানো থাকবে। ব্যালট বাক্স ছাড়াও ব্যালট পেপার ও অন্য নথিপত্রও পলিথিন সিটে মুড়িয়ে বুথে নিয়ে যাওয়া হবে ও ফিরিয়ে আনা হবে। আগে থেকেই লম্বা ছাওনি দেওয়া রয়েছে এমন বুথ বাদ দিয়ে বাকি বুথে ভোটারদের লাইনের মাথায় অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থা করা হবে।”
রাজনৈতিক দলের পতাকায় সাজছে এলাকা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
এ জেলায় মোট ৪৯৩৫টি বুথ থাকলেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪০১টি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৪৯৩৫টি বুথের মধ্যে ৩৮টি বুথ বাদ দিয়ে বাকি সব বুথই স্পর্শকাতর। তার মধ্যে ১৫৩০টি বুথ অতি স্পর্শকাতর। ২৫৮৩টি বুথ মাঝারি ধরণের স্পর্শকাতর। ৪৯৩৫টি বুথকে মোট ৫১৯টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে দায়িত্বে থাকছেন এক জন সাধারণ প্রশাসকের পাশাপাশি এক জন করে পুলিশ অফিসার। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী থাকবে।” তার জন্য প্রয়োজন ১৭ হাজার সশস্ত্র বাহিনী। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার সশস্ত্র পুলিশ কর্মী। ফলে আরও সাড়ে ১৪ হাজার সশস্ত্র পুলিশ প্রয়োজন। তার মধ্যে ৯ হাজার আধা সামরিক বাহিনী পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “ভোটের দিন প্রতি থানা এলাকায় সশস্ত্র পুলিশে সজ্জিত ২টি থেকে ৫টি পুলিশের আর টি মোবাইল ভ্যান চক্কর দেবে। সেই সঙ্গে প্রতি থানায় ৭ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি করে হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ভোটের দিন সব সময় চক্কর দেবে।” তিনি বলেন, “এখন থেকেই ভারত-বাংলাদেশের মতো আন্তঃরাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের মতো আন্তঃরাজ্য, মালদহ, নদিয়া, বর্ধমান ও বীরভূমের মতো আন্তঃজেলা সীমান্ত এলাকায় টহলদারি চলছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ওই সব সীমান্ত সিল করে দেওয়া হবে।” ডোমকল ও বেলডাঙার মতো অতি স্পর্শকাতর থানা এলাকা ও রঘুনাথগঞ্জের গিরিয়া ও সেকেন্দ্রার মতো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রতি এ বারের ভোটে পুলিশের বিশেষ নজর রয়েছে।
তার সঙ্গে বাস, লরি, ছোট লরি ও ট্রেকার মিলিয়ে মোট যানবাহন থাকছে প্রায় আড়াই হাজার।

ক্যাম্পাস থেকে

দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। গাঁ-গঞ্জের ছাত্র-যুবরা ঠিক কী ভাবে দেখছে এই নির্বাচন? ভবিষ্যতে তারা নিজেরা কি প্রার্থী হতে চায়? ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিয়েই বা ছাত্রদের কী মত? তারই খোঁজে কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ে খোঁজ আনন্দবাজারের ।

রাজনীতির ঝঞ্ঝাট থেকে দূরে থাকার জন্য পড়ুয়ারা রাজনীতিমুখো হতে চায় না। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামের কাঙ্খিত উন্নয়ন দেখতে পাইনি। যোগ্য লোকেরা দল সর্বস্ব ব্যবস্থার মধ্যে আসতে চান না। তবে গ্রামের জন্য আমার কাজের ইচ্ছা রয়েছে।
বিরাজ বিশ্বাস। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র

ছাত্র রাজনীতির ঝামেলার মধ্যে থাকি না। ছোট থেকেই দেখে আসছি কোনও দলই গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করেনি। আমি এই রাজনীতির মধ্যে নিজেকে জড়াতে চাইনা। তবে গ্রামের উন্নয়ন হলে ভাল লাগবে।
রিয়া নন্দী। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী

ঝোঁকের মাথায় ছাত্র নেতারা অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। পরিবর্তনের পরেও আমাদের গ্রামের বহু রাস্তার কোনও উন্নতি হয়নি। ভবিষ্যতে আমি ভোটে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
সনক ঘোষ। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র

সরকার মেয়েদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করেছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে আমি ভোটে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য ভাল করার কাজে সামিল হতে চাই।
মৌটুসি মল্লিক। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.