|
|
|
|
বরাকে আটক বিভিন্ন দলের নেতারা |
অপহৃতের উদ্ধারের দাবিতে বনধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
পাঁচ সপ্তাহ পরও অপহৃত এক যুবক উদ্ধার না-হওয়ার প্রতিবাদে আজ বনধ পালন করলেন করিমগঞ্জের সাধারণ মানুষ। তাঁদের সমর্থন করল রাজনৈতিক দলগুলিও। জুন মাসের প্রথম দিকে অরূপ কর্মকার
নামে স্থানীয় ওই যুবককে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বন্ধের সমর্থনে আন্দোলনে যোগ দিয়ে আটক হন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সতু রায়, বিজেপি-র জেলা সভাপতি রথীন্দ্র ভট্টাচার্য, অগপ-র সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এআইইউডিএফ-এর আব্দুল হেকিম চৌধুরী, সিপিআই-এর চন্দন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক কেতকীপ্রসাদ দত্ত, বিজেপি-র মিশনরঞ্জন দাস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
রাজনৈতিক দলগুলি আজকের বন্ধকে সর্বাত্মক বলে দাবি করেছে। জেলার কোথাও দোকান-বাজার খোলেনি। রাস্তা ছিল সুনসান। বন্ধ ছিল অফিস, স্কুল, কলেজও।
পুলিশ জানিয়েছে, চরগোলায় একটি মালগাড়িকে আটকান অবরোধকারীরা। তার জেরে বদরপুরে থমকে যায় লামডিং থেকে আগরতলা যাওয়ার ট্রেন। একের পর এক অবরোধে বরাক উপত্যকায় রেল পরিষেবা বনধ হয়ে যায়।
বনধের প্রভাব পড়ে পড়শি ত্রিপুরাতেও। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সে রাজ্যের রেল, সড়ক যোগাযোগ।
কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশের দাবি। অবরোধে সামিল শতাধিক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, জেলাশাসক সঞ্জীব গোঁহাই বরুয়া অফিসে ঢুকে গেলে তাঁর পথরোধ করেন অবরোধকারীরা।
ওই ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-সহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়। দেহরক্ষীদের সাহায্যে জেলাশাসক অফিসে ঢোকেন। অভিযোগ, ওই সময় এক আন্দোলনকারীকে তিনি লাথি মারেন। তার জেরে সঞ্জীববাবুকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি জেলাশাসক।
অপহৃত যুবককে উদ্ধারের বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপারের মতো অসহায় পরিস্থিতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “অরূপকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ায় আমরা কিছু করতে পারছি না। এ
নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছি।’’ |
|
|
|
|
|