সকাল আটটাতেই সপরিবারে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে হাজির হলেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিদ্যানগর গয়ারামদাস বিদ্যামন্দিরে তখন চলছে দু’টি বুথের ভোটগ্রহণ। স্বপনবাবুর নিজের বুথে পঞ্চায়েতের আসনে এ বার প্রার্থী স্ত্রী নিলীমা দেবনাথ। ছেলে ভোট দেওয়ার পরেই দুই নাতি জয় এবং ডিংডংয়ের কাঁধে ভর দিয়ে ভোট দিতে এলেন স্বপনবাবুর মা লাবণ্যপ্রভা দেবনাথ। স্বপনবাবুর দুই ছেলের কথায়, “এত দিন নানা নির্বাচনে বাবাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গিয়েছে। এ বারই প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে মা প্রার্থী। সকাল হতেই তাই সবাই বুথমুখী।”
|
সাত সকালেই মাথায় হাত কালনা ২ ব্লকের পূর্বসাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি বলাই উপাধ্যায়ের। দলের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে জানালেন, শতপতী দক্ষিণ ২৪ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম নেই। বদলে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম রয়েছে হরেকৃষ্ণ মণ্ডলের। ৭টা নাগাদ বলাইবাবু-সহ তৃণমূল কর্মীরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। পরে আধিকারিকেরা এসে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নথিপত্র দেখিয়ে জানান, বলাইবাবু মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন শতপতী উত্তর আসনে। দক্ষিণে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন হরেকৃষ্ণবাবু। সাড়ে সাতটা নাগাদ ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
|
পায়ে নাগরা জুতো। হাতের আঙুল ভরা আংটিতে। গলায় বেশ কয়েকটি সোনার চেন। পূর্বস্থলীর গঙ্গানন্দপুর গ্রামের ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে লোকশিল্পী পরীক্ষিৎ বালা বেরোতেই শুরু করলেন গান। তাঁর আশেপাশে ভিড় জমাতে শুরু করলেন ভোট দিতে আসা ভোটাররা। গত এক মাস ধরে তৃণমূলের জেলার নানা নির্বাচনী প্রচারে প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পরীক্ষিতবাবুর কথায়, “প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর নানা উন্নয়নের কাজকে সামনে রেখে ভোটারদের গান শুনিয়েছি। আজও ওঁদের আবদার ছিল।”
|
একের অধিক ভোট ভোট দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন সালানপুর ব্লকের জেলাপরিষদে কংগ্রেসের প্রার্থী জগন্নাথ মণ্ডল। সোমবার ঢ্যাঁড়সপুর গ্রামে সিয়াকুলবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে তিনি ভোট দিতে যান। তখনই আপত্তি তোলেন সিপিএম এবং তৃণমূলের পোলিং এজেন্টরা। তাঁদের অভিযোগ, জগন্নাথবাবু আগে একবার ভোট দিয়েছেন। পরে বেশ কিছুক্ষণ ভোটদান বন্ধ হয়ে যায়। পরে ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন চয়নপুর বুথে তাঁর নাম রয়েছে। আবার সিয়াকুলবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের বুথেও তাঁর নাম রয়েছে। এ দিন প্রথমে তিনি চয়নপুরে নিজের ভোট দেন। পরে সিয়াকুলবেড়িয়ায় ভোট দিতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
|
পিলা পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে দলীয় প্রার্থী ছিল মাসকুরা বিবি। দেখা যায়, বিকেলের দিকে যে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়, তাতে নাম চলে আসে নিমদহ পঞ্চায়েতের এক প্রার্থী অনিমা দাসের। ফলে দলীয় বহু ভোটার ভোট দিতে পারেনি। এর জন্য দু’জায়গাতেই আমরা পুনরায় ভোট গ্রহণের আবেদন জানিয়েছি। |