নামী লোকের গুণি বউ হওয়ার বিপত্তি জানেন করবী মান্না।
যেখানেই যান আর যা-ই করুন, সেলিব্রিটি স্বামীর ছায়া বড্ড লম্বা। ঘিরে ধরবেই। যতই স্কুটি চালিয়ে রোগীদের বাড়ি-বাড়ি দৌড়োন আর পাঁচ বছর জেলা পরিষদে দাপটে কাজ করে আসুন, লোকে দেখলে প্রথমেই বলবে ‘বেচারাম মান্নার বউ’। তাতে অবশ্য আপত্তির কিছু নেই, বিশেষত যদি সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে ভোটে লড়তে হয়। কিন্তু গত বার জমি আন্দোলনের জোয়ারে যিনি ড্যাং ড্যাং করে জিতেছিলেন, তিনি এ বার বেশি সাবধানী, সতর্ক। একে তো সংরক্ষণের ঠেলায় আগের জেতা আসন ছেড়ে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। তার উপরে, পাঁচ বছর প্রশাসনে থাকার সৌজন্যে অল্পবিস্তর প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া যে বইছে না, তা-ই বা হলফ করে বলবে কে?
এর বাইরেও চোরাস্রোত রয়েছে। এক সময়ে যিনি বেচারামের ডান হাত ছিলেন, সেই মানিক দাস এখন ‘বিরূপ’ হয়েছেন। রেলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ থাকায় তাঁকে টিকিট না দেওয়ার জন্য উপরমহলে তদ্বির করেছিলেন বেচারাম। কিন্তু তিনি জেলা পরিষদে টিকিট পেয়েছেন। |
ফলে স্বামীর জনপ্রিয়তাই শুধু নয়, দলে তাঁর বিরুদ্ধে ঘনিয়ে ওঠা আঁচের ভাগও নিতে হচ্ছে অর্ধাঙ্গিনীকে।
সিঙ্গুরের মাটি আপাতত ঘাসফুলে ছেয়ে রয়েছে বটে, কিন্তু জমি নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাও তো রয়েছে। আর আছে আপাতত চাদর মুড়ি দিয়ে থাকা সিপিএমের ‘সংগঠন’। যে দুই ফলায় ফুলের বাগান নিকেশ করবেন বলে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তৃপ্তি দাস। হাওড়া গার্লস থেকে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন, শিল্প না হলে কী কী সর্বনাশ হয় তারই ব্যাখ্যান বাড়ি-বাড়ি ফিরি করে বেড়াচ্ছেন তিনি। তাপসী মালিকের সিঙ্গুরে বারবার তুলছেন কামদুনি-গাইঘাটার কথাও।
সঙ্গে ছুটছেন সিপিএমের জোনাল সম্পাদক পাঁচকড়ি দাসও। বয়স সত্তর পেরিয়েছে বটে, কিন্তু এনার্জি সাতাশ বছরের। “সিঙ্গুরে এ বার অনেক হিসেব বদলে দেব” গলার ঝাঁঝে অতৃপ্তি ফুটিয়ে তুলে বলেন তৃপ্তি। মনে মনে হয়তো হিসেব কষেন, কে বেশি ভোট কাটবে? কংগ্রেসের সন্ধ্যা রায়, বড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিজেপি-র দেবযানী পাত্র, না কি সিঙ্গুর আন্দোলনে পরিচিত মুখ এসইউসি-র অমিতা বাগ?
করবী শুধু জানতে চান, “গত পাঁচ বছরে এত যে কাজ করলাম, সিঙ্গুরের মানুষ মনে রাখবে না?” |
খবর পেয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপ ব্লকের রবীন্দ্র পঞ্চায়েতের যুগলপুর গ্রামে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে স্থানীয় গঙ্গাধরপুর গ্রামের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। আজ রবিবার সন্ধ্যায় তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী ঘটনাটি জানতে কাকদ্বীপ ব্লকের বিডিও এবং কাকদ্বীপ থানাকে বিষয়টি জানায়। এরপরই ওই নাবালিকার বিয়ে রুখতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। পুলিশ ওই নাবালিকার বাবাকে থানায় ডেকে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেয়। বিডিও অভিজিত্ চৌধুরী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশের সাহায্যে আমরা এই বিয়ে বন্ধ করেছি।” |