নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পঙ্কজকুমার প্রসাদ নামে আহত ওই ছাত্র বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বর্ধমানের রামাশিস হিন্দি হাইস্কুলের ঘটনা। ওই তিন শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেছে ছাত্রটি। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে স্কুলে এক সহপাঠীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পঙ্কজ। পরস্পরকে গালিগালাজও করে তারা। দেবেন্দ্র চৌধুরী নামের জীববিদ্যার শিক্ষক পঙ্কজকে টিচার্স রুমে ডেকে কয়েকটি চড় মারেন। এর জেরে পঙ্কজ টিচার্স রুম থেকে বের হওয়ার সময়ে তাঁকে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। ওই গালি শুনেই ওই জীববিদ্যার শিক্ষক ও অনিল সিংহ, শুভাশিস মাহাতো নামে অপর দুই শিক্ষক তাকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাড়ির লোকেরা তাকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে বর্ধমান থানায় নিয়ে আসেন। তার পর তাকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পঙ্কজের বাবা, রেলকর্মী রমেশ প্রসাদ বলেন, “শাসনের নামে ওকে এভাবে ছাত্রদের লাঠি, রড দিয়ে হাতে, বুকে পায়ে মারা হবে, ভাবতে পারিনি।” পঙ্কজ লিখিত অভিযোগে জানায়, সে বাঁ হাত ও মাথা ঘোরাতে পারছে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিদ্যা নন্দন সিংহ বলেন, “ছাত্রটিকে এতটা মারধর করা ঠিক হয়নি। তবে ওই ছাত্রটিওএক শিক্ষককে গালি দেয়। তার জেরেই ওই ঘটনা। আমরা আহত ছাত্রের চিকিৎসার খরচ দেব ।” প্রধান শিক্ষক শনিবার প্রায় সারাদিন ওই বেসরকারি হাসপাতালে থেকে ছাত্রটির চিকিৎসার তদারকিও করেন। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। দরকার হলে ছাত্রটিকে হাসপাতালে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শনিবার ওই তিন শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
|